ডোনাল্ড ট্রাম্প কি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারেন? আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি এমন একটি সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইউক্রেন এবং গাজা উপত্যকার যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের কারণে এমনটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি, যা শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। প্রতি বছর ১০ই ডিসেম্বর এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়, তবে বিজয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনেক আগে থেকেই শুরু হয়।
ট্রাম্পের ক্ষেত্রে, ২০২৬ সালের পুরস্কারের জন্য তার নাম বিবেচনা করা হতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে ট্রাম্পের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। যদিও এই মুহূর্তে যুদ্ধ চলছে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে, যেখানে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়ানো হবে।
এমনটা হলে, ট্রাম্পের প্রশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গাজা উপত্যকার যুদ্ধ বন্ধেও ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তার ২০-দফা পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে গাজা দখলের চিন্তা ত্যাগ করতে হবে এবং হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে।
একইসঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ও এই পরিকল্পনার অংশ। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে, গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
তবে, শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের মনোনয়ন নির্ভর করছে এই দুটি অঞ্চলের সংঘাত নিরসনে তার দল কতটা সফল হয় তার উপর। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরগুলোতে যদি এই শান্তি প্রক্রিয়াগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, তবে ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষকদের মতামত অনুযায়ী, ট্রাম্পের দল যদি ইউক্রেন এবং গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, তবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারেন। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নোবেল কমিটি।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।