শীত ও ফ্লু’র মরসুমে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র।
শীতকাল আসার সঙ্গে সাথে ঠান্ডা লাগা ও ফ্লু’র প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়টাতে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, যা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু হলে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়, যেমন – জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, শরীর ব্যথা ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে কিছু ঔষধ হাতের কাছে থাকলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
ঠান্ডা লাগা ও ফ্লু’র জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ :
- ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ (যেমন: নাপা, এইস)।
- নাক বন্ধ থাকলে, ডিকনজেস্টেন্ট (যেমন: নাজল)।
- কাশি কমাতে কাশির সিরাপ (যেমন: কোডিল)।
- গলা ব্যথার জন্য লজেন্স বা অ্যান্টিসেপটিক গার্গল।
এছাড়াও, কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখা ভালো যা অসুস্থ অবস্থায় কাজে লাগে:
- শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার।
- ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার। হিউমিডিফায়ার না থাকলে, একটি পাত্রে জল নিয়ে ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন।
- জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
- টিস্যু অথবা নরম রুমাল।
ঠান্ডা ও ফ্লু থেকে বাঁচতে করণীয় :
ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা।
- নিয়মিত সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোওয়া।
- ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
- ফ্লু’র প্রতিষেধক টিকা নেওয়া। এই টিকা ফ্লু’র সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, ফ্লু হলে রোগের তীব্রতাও কমায়। টিকা নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
অন্যান্য বিষয় :
ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু’র ঔষধ সেবনের সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। কোনো ঔষধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও, কোনো ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন, সুস্থ থাকতে হলে প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তথ্য সূত্র: হেলথলাইন