খেলা শেষে জয়! ১৫তম ইনিংসে জয় ছিনিয়ে নিলো মারিনার্স, উৎসবের ঢেউ!

যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে, দীর্ঘ ১৫ ইনিংসের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে আমেরিকান লীগের চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজের (এএলসিএস)-এর টিকিট নিশ্চিত করেছে সিয়াটল মেরিনার্স। শুক্রবার রাতে ডেট্রয়েট টাইগার্সকে ৩-২ রানে পরাজিত করে তারা এই কৃতিত্ব অর্জন করে।

খেলাটি ছিল প্লে-অফের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম ‘উইনার-টেক-অল’ ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে অনেকেই হয়তো এতটা উত্তেজনার আভাস পাননি।

কিন্তু খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যেন তা রূপকথার জন্ম দেয়। ১৫তম ইনিংসে জর্জে পোলানকো-এর জয়সূচক ‘সিঙ্গেল’-এর মাধ্যমে মেরিনার্স জয় নিশ্চিত করে।

জে পি ক্রফোর্ড-এর দৌড়ে আসা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ডেট্রয়েট টাইগার্সের বোলার টমি কানলে-এর ফুল-কাউন্ট চেঞ্জআপে পোলানকো-এর এই অসাধারণ শটটি আসে।

পুরো স্টেডিয়ামে তখন আনন্দের ঢেউ, আর সেই ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে মেরিনার্সের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। খেলায় মোট ৪ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট সময় লেগেছিল।

খেলাটিতে একদিকে যেমন ছিল উত্তেজনার ঘনঘটা, তেমনই ছিল স্নায়ুচাপের চরম পরীক্ষা। উভয় দলই জয়ের জন্য মরিয়া ছিল, কিন্তু ভাগ্যদেবী সহায় ছিলেন মেরিনার্সের প্রতি।

ডেট্রয়েট টাইগার্সের বোলার তারিক স্কুবাল ১৩ জন খেলোয়াড়কে আউট করে অসাধারণ দক্ষতা দেখালেও দলের পরাজয় রুখতে পারেননি। অন্যদিকে, মেরিনার্সের খেলোয়াড় লুইস ক্যাসটিলো ১ এবং ১/৩ ইনিংস বল করে এবং লোগান গিলবার্ট দুটি ‘ইনিংসে’ কোনো রান না দিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

মেরিনার্সের ম্যানেজার ড্যান উইলসন এই জয়কে একটি “অবিশ্বাস্য” জয় হিসেবে উল্লেখ করেন। খেলোয়াড়দের মনোবল ও চেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই জয়ের ফলে, ২০০১ সালের পর প্রথমবারের মতো মেরিনার্স এএলসিএস-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। এখন তাদের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে টরন্টো ব্লু জয়েস।

বেসবল খেলাটি বাংলাদেশে খুব একটা পরিচিত না হলেও, খেলাধুলার প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময় থাকে। এই ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ প্রমাণ করে খেলাধুলা শুধু বিনোদনই নয়, এটি দলগত প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং জয়ের অদম্য ইচ্ছার এক দারুণ উদাহরণ।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *