মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য ফেডারেল সৈন্য মোতায়েনের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত রবিবার, প্রতিবাদকারীরা শহরের রাস্তায় নগ্ন বা অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাইক চালিয়ে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের মূল কারণ ছিল, কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা – চলমান বিক্ষোভ দমনে ফেডারেল সৈন্যদের ব্যবহারের সম্ভাবনা। পোর্টল্যান্ডের এই নগ্ন বাইক রাইড সেখানকার সংস্কৃতিতে বেশ পরিচিত একটি বিষয়।
সাধারণত প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে এই ধরনের আয়োজন করা হয়। তবে, জরুরি অবস্থা বিবেচনা করে এবার এই প্রতিবাদটি দ্রুত আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।
৫১ বছর বয়সী জেনিন কিং নামের এক প্রতিবাদকারী, যিনি শুধুমাত্র উল-এর মোজা, একটা পরচুলা এবং টুপি পরে বাইক চালিয়েছিলেন, এই প্রতিবাদকে ‘পোর্টল্যান্ডের চিরাচরিত প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, তাঁদের প্রতিবাদে কোনো সমস্যা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা অবশ্যই আমাদের শহরে সেনা মোতায়েন চাই না।” প্রতিবাদকারীরা শহরের ইউ.এস. ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর অফিসের সামনে দিয়ে যান।
কর্তৃপক্ষ তাদের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেয় এবং রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেয়। জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল সৈন্য পাঠাতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানির রায় এখনো আসেনি।
গত ৫ অক্টোবর এক ফেডারেল বিচারক সৈন্যদের মোতায়েনের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। আয়োজকদের মতে, “আনন্দও এক ধরনের প্রতিবাদ। পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসার সঙ্গে একত্রিত হওয়াও প্রতিবাদের একটি রূপ।”
তারা আরও জানান, “আপনি কতটুকু পোশাক পরবেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ।” সাধারণত, এই ধরনের রাইডে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অংশ নেন।
তবে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার অনেকে পোশাক পরে বাইক চালান। পোর্টল্যান্ডে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই নগ্ন বাইক রাইড অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
অনেক সময় প্রায় ১০,০০০ জন পর্যন্ত এতে অংশ নেয়। তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)