হেলেনা মোরেনো, যিনি নিউ অরলিন্স সিটি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউ অরলিন্সের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী মেয়র লাতোয়া কান্ট্রেলের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যার মেয়াদ বিতর্ক ও অভিযোগের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে।
শনিবারের নির্বাচনে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মোরেনো ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সরাসরি জয়লাভ করেন, ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট এড়াতে সক্ষম হন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউ অরলিন্স। এটি লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত এবং এর রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
এই শহরের মেয়র নির্বাচন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেয়র স্থানীয় সরকার পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এই নির্বাচনে হেলেনা মোরেনোর জয় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর হেলেনা মোরেনো শহরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রচারণার মূল বিষয় ছিল এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উল্লেখ্য, মোরেনোর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা) খরচ হয়েছে।
হেলেনা মোরেনোর জন্ম মেক্সিকোতে। তিনি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি ২০০০ সালের প্রথম দিকে একজন টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১০ সালে তিনি লুইজিয়ানা রাজ্যের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে নিউ অরলিন্স সিটি কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।
এই নির্বাচনের একটি বিশেষ প্রেক্ষাপট রয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ অরলিন্সে অপরাধ দমনের জন্য ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
যদিও লুইজিয়ানার রিপাবলিকান গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিও একই ধরনের অনুরোধ করেছিলেন, তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নবনির্বাচিত মেয়র হেলেনা মোরেনো ফেডারেল সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করেছেন।
বিদায়ী মেয়র লাতোয়া কান্ট্রেল তার দ্বিতীয় মেয়াদে বিভিন্ন অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ফেডারেল দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়েছিল।
মোটকথা, হেলেনা মোরেনোর এই বিজয় নিউ অরলিন্সের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কিভাবে শহরটিকে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
তথ্য সূত্র: সিএনএন