মার্কিন সামরিক বাহিনীতে আইনজীবীদের ভূমিকা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে, যেখানে পেন্টাগন সামরিক কার্যক্রমের আইনি সীমাবদ্ধতা পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি, প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন যে, সামরিক বিভাগের নীতি নির্ধারকেরা আইনজীবীদের পরামর্শকে উপেক্ষা করছেন এবং তাদের ক্ষমতা হ্রাস করার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, এই বছরের শুরুতে, সেনাবাহিনীর প্রধান আইনজীবী সামরিক বাহিনীর ব্যবহার ও কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন কিছু নীতির বৈধতা নিয়ে পেন্টাগনের অভ্যন্তরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, তাকে দ্রুত এসব বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করা হয়।
এমনকি, শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্থানে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সামরিক আইনজীবীদের ক্ষমতা হ্রাস করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তাঁরা প্রায়শই সেনাবাহিনীর নীতিমালার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উদাহরণস্বরূপ, অভিবাসন ইস্যুতে টেক্সাস ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্যদের ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন শীর্ষ আইনজীবী।
এছাড়াও, কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তি নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, কর্মকর্তাদের এসব উদ্বেগকে আমলে না নিয়ে বরং তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে কার্যত সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে আইনের শাসন দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।
তাঁরা মনে করেন, এর ফলে সামরিক বাহিনীর কর্মীরা হয়তো এমন সব কাজ করতে উৎসাহিত হবেন যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব অভিযোগের সরাসরি কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। তবে, তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, সামরিক বাহিনীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুন এবং জবাবদিহিতার একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা বিদ্যমান।
পেন্টাগনের এই পদক্ষেপের ফলে সামরিক বাহিনীর কর্মপরিবেশে আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলস্বরূপ সামরিক বাহিনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা কমে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।