নির্বাচনে চমক! মেয়র পদে এগিয়ে কে? কুওমোর স্বপ্ন নাকি মামদানির জয়?

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদের দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রার্থীরা।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিভার মধ্যে মূল লড়াইটা জমে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি জোহরান মামদানির।

তবে তাঁর দল চাইছে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে, যাতে সরকার গঠন এবং নীতি প্রণয়নে সুবিধা হয়।

অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু ক্যুমো চেষ্টা করছেন এমন ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে, যাঁরা মামদানির সমাজতান্ত্রিক নীতি নিয়ে সন্দিহান। তিনি নিজেকে একজন অভিজ্ঞ এবং মধ্যপন্থী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন।

ক্যুমোর মূল লক্ষ্য, রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন আদায় করা। তাঁর কৌশল হলো, ভোটারদের বোঝানো যে মামদানির নীতির কারণে শহরটির ক্ষতি হতে পারে।

রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিভার চেষ্টা করছেন তাঁর দলের ভোটারদের ধরে রাখতে। তিনি মনে করেন, এখনও তাঁর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

আসন্ন বিতর্কের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রার্থীরা। এখানে তাঁদের মূল লক্ষ্য হলো, ভোটারদের কাছে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করা।

জোহরান মামদানির প্রচারণা এখন পর্যন্ত বেশ সফল। তাঁর সমর্থনে রয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তাঁর প্রচারণায় তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।

সম্প্রতি, একটি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে, যা তাঁর দলের কর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু ক্যুমোর প্রচারণা কিছুটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর জনপ্রিয়তা ততটা দেখা যাচ্ছে না, যতটা মামদানির রয়েছে।

নির্বাচনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক নীতি, এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। প্রার্থীদের মধ্যে এই বিষয়গুলো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনের ফলাফল নিউ ইয়র্ক সিটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এখন দেখার বিষয়, কোন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটারদের মন জয় করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *