যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে গোপন নথি সংরক্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বোল্টনের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগটি দেশটির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমি এবং নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর।
বোল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হোয়াইট হাউজে থাকাকালীন সময়ে পাওয়া কিছু গোপন তথ্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন, যাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অনুমোদন ছিল না। আইনজীবীরা বলছেন, বোল্টন কোনো গোপন তথ্য গোপন করেননি বা শেয়ারও করেননি।
তারা আরও বলছেন, যে নথিগুলোর ভিত্তিতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে এফবিআইয়ের কাছে ২০২১ সাল থেকেই তথ্য ছিল।
তবে, বোল্টনের মামলাটি কোমি এবং জেমসের মামলার চেয়ে কিছুটা আলাদা। ট্রাম্পের সঙ্গে বোল্টনের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে, তবে অভিযোগের পেছনে ট্রাম্পের সরাসরি ভূমিকা এখনো পর্যন্ত সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
যদিও ট্রাম্প এর আগে বোল্টনকে অভিযুক্ত করার কথা বলেছিলেন এবং এর ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন।
এই মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ২০১৯ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর বোল্টনের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। ধারণা করা হয়, ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি পক্ষ এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তাদের হাতে চলে যায়।
যদি এটি প্রমাণিত হয়, তাহলে classified তথ্য হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হিলারি ক্লিনটন এবং ট্রাম্পের মতো প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের চেয়ে বোল্টনের কাজটি আরও গুরুতর হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বোল্টনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গুরুতর, কারণ এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা জড়িত। এছাড়াও, ট্রাম্প বোল্টনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মুখিয়ে ছিলেন।
তাকে নিরাপত্তা ছাড় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এবং এমনকি তার নিরাপত্তা রক্ষীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ঘটনাগুলো বিচার বিভাগের রাজনৈতিক ব্যবহারের একটি উদাহরণ। যদিও অভিযোগগুলোর সত্যতা এখনো প্রমাণিত হয়নি, তারপরও ঘটনার পেছনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক ইঙ্গিত বহন করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন