সুইয়ারেজের ব্যাটে স্বপ্নপূরণ? মেরিনার্স কি বিশ্ব সিরিজের পথে?

ওয়াশিংটন ডিসি, [তারিখ] : ইউজেনিও সুয়ারেজের অসাধারণ কৃতিত্বে ভর করে প্রথমবারের মতো ‘ওয়ার্ল্ড সিরিজ’-এর খুব কাছে পৌঁছে গেল সিয়াটল মেরিনার্স। টরন্টো ব্লু জয়েসের বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৬-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে তারা।

খেলার অষ্টম ইনিংসে সুয়ারেজের গ্র্যান্ডস্লামটি কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই জয়ের ফলে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মেরিনার্স।

দীর্ঘ ৩০ বছর পর এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকল মেরিনার্স দল। খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের জন্য এই জয় যেন এক স্বপ্নের মতো।

খেলা শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে সুয়ারেজ বলেন, “আমি পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে এই ধরনের মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছি। আজ আমি তা উপভোগ করলাম। আমার পরিবারের সামনে, বিশেষ করে আমার দুই মেয়ের সামনে এমন জয় সত্যিই বিশেষ কিছু।”

১৯৯৫ সালের আমেরিকান লিগ ডিভিশন সিরিজে (এএলডিএস) নিউ ইয়র্ক ইয়াংকিজকে হারানোর পর, মেরিনার্স দল চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজে প্রবেশ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা শেষ পর্যন্ত ক্লিভল্যান্ডের কাছে হেরে যায়।

এরপর, পাঁচ বছর পর, তারা আবারও ফাইনালের খুব কাছে গিয়েছিল, কিন্তু এবারও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ইয়াংকিজ।

এই মুহূর্তে, মেজর লিগ বেসবলের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে ‘ফল ক্লাসিক’-এ (ওয়ার্ল্ড সিরিজ) খেলার সুযোগ পায়নি মেরিনার্স। তাদের এই অপূর্ণতা ঘোচানোর জন্য আর মাত্র একটি জয় দরকার।

মেরিনার্সের ম্যানেজার ড্যান উইলসন বলেন, “সুয়ারেজের গ্র্যান্ডস্লামের পর স্টেডিয়ামে এত জোরে চিৎকার আমি আগে কখনো শুনিনি। ২০০১ সালের পর যারা দলের সঙ্গে আছেন, তাদেরও মনে হয় না এমন দৃশ্য আগে দেখেছেন।”

ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে গেলেও, ক্যাল রালেয়ের হোম রান এবং সুয়ারেজের গ্র্যান্ডস্লাম মেরিনার্সকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনে।

রালেয়ের এই হোম রান ছিল প্লে-অফের চতুর্থ এবং নিয়মিত মৌসুমসহ ৬৪তম। এছাড়া, এটি ছিল ২০০১ সালের আমেরিকান লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ব্রেট বুনের পর কোনো প্লে-অফ ম্যাচে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হোম রান।

আগামী রোববার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *