লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য!

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় জাদুঘর, ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসিক এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে এই জাদুঘরের দরজা খোলার ঠিক আগে একদল চোর ভেতরে প্রবেশ করে মূল্যবান কিছু অলঙ্কার লুঠ করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনার জেরে দিনভর বন্ধ করে দেওয়া হয় জাদুঘরের দরজা। ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী রাশিদা data এই ঘটনার কথা জানান।

খবর অনুযায়ী, চোরেরা একটি বাস্কেট লিফটের মাধ্যমে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা একটি জানালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং কাঁচের শোকেস ভেঙে মূল্যবান অলঙ্কার চুরি করে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চোরেরা প্রায় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে জাদুঘরে প্রবেশ করে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই পালিয়ে যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং চুরি হওয়া জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চুরি হওয়া জিনিসগুলির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্য ‘অমূল্য’।

ল্যুভর মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারিতে (Galerie d’Apollon) এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নেপোলियन এবং তাঁর স্ত্রীর সংগ্রহ থেকে কিছু অলঙ্কার চুরি হয়েছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লে প্যারিসিয়ান’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চোরেরা সম্ভবত সম্রাজ্ঞী ইউজেনি-র মুকুটের একটি অংশও চুরি করেছে। পরে জাদুঘরের বাইরে সেটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এখানে চুরির চেষ্টা হয়েছে।

১৯১১ সালে ‘মোনালিসা’ চুরির ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ইতালীয় নাগরিক ভিনসেঞ্জো পেরুজিয়া নামের এক ব্যক্তি এই ছবি চুরি করে পালিয়ে যান।

যদিও দুই বছর পর ফ্লোরেন্স থেকে মোনালিসা উদ্ধার করা হয়।

প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে ইউরোপীয় শিল্পকলার বিভিন্ন নিদর্শনসহ মেসোপটেমীয়, মিশরীয় এবং গ্রিক-রোমান সভ্যতার বহু মূল্যবান শিল্পকর্ম রয়েছে ল্যুভর মিউজিয়ামে।

‘মোনালিসা’, ‘ভেনাস ডি মিলো’ এবং ‘উইংড ভিক্টরি অফ সামোথ্রেস’-এর মতো বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোও এখানে সংরক্ষিত আছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার দর্শক এই জাদুঘরে আসেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলির খবর অনুযায়ী, ফরাসি কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করছে এবং খুব দ্রুতই চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *