মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। গত কয়েক মাসে, এই অঞ্চলে সামরিক সরঞ্জাম ও সৈন্য সমাবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা ভেনেজুয়েলার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশাল অংশ বর্তমানে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪,৫০০ এর বেশি নৌ-সেনা ও মেরিন সেনা সদস্য, ডেস্ট্রয়ার, সাবমেরিন, এবং যুদ্ধজাহাজ। এছাড়াও, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত P-8 Poseidon বিমান এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও এখানে আনা হয়েছে।
পুয়ের্তো রিকোতে একটি সামরিক ঘাঁটি, যা কয়েক দশক ধরে বন্ধ ছিল, সেটিও আবার চালু করা হয়েছে। এই ঘাঁটিতে সশস্ত্র বিমান ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক উপস্থিতি মাদক পাচার বিরোধী অভিযানের অংশ হতে পারে। তবে, অনেকে মনে করেন, এটি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দুর্বল করার একটি কৌশল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে সামরিক আঘাত হানার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ভেনেজুয়েলায় পূর্ণমাত্রায় অভিযান চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়, তবে এর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার উপর চাপ সৃষ্টি করা যেতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সামরিক সমাবেশ মূলত একটি সতর্কবার্তা এবং চাপ প্রয়োগের অংশ।
ভেনেজুয়েলা সামরিক দিক থেকে ততটা শক্তিশালী না হলেও, তাদের কাছে অত্যাধুনিক বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান রয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন বোমারু বিমান ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে টহল দিয়েছে, যা শক্তি প্রদর্শনের একটি অংশ ছিল।
এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে এখন সবার নজর।
তথ্য সূত্র: সিএনএন