বড় দুঃসংবাদ! অ্যান্ড্রু’র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তোলপাড়!

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে পুলিশ, ডিউক পদ হারানোর কারণ

যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ওঠা একটি গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ভার্জিনিয়া গিউফ্রের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে। এর মাধ্যমে গিউফ্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিনা, সেটিই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার নিরাপত্তা কর্মীকে গিউফ্রের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কিনা, তা খুঁজে বের করতে বলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসার পরেই পুলিশ তদন্তে নামে। এর আগে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন ধরে যৌন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন—এমন প্রমাণ পাওয়ার পর তিনি ডিউক অব ইয়র্কসহ রাজকীয় উপাধিগুলো ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

গিউফ্রের পরিবার প্রিন্স অ্যান্ড্রুর উপাধি ত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, তারা চান তৃতীয় চার্লস যেন অ্যান্ড্রুর প্রিন্স পদও বাতিল করেন। উল্লেখ্য, গিউফ্রের ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেন।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিতর্কিত বন্ধু এবং সন্দেহজনক ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এর মধ্যেই, ২০১৬ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু জানান, তিনি ২০১০ সাল থেকে এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু ইমেইল থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতেও তিনি এপস্টাইনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ওই ইমেইলগুলোতে অ্যান্ড্রুকে বলতে শোনা যায়, “আমরা একসঙ্গে আছি, আমাদের এটা (সমালোচনা) কাটিয়ে উঠতে হবে।”

ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। যদি এমনটা ঘটে থাকে, তবে অবশ্যই তা কোনো ভালো কাজ হয়নি। কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।”

২০২২ সালে ভার্জিনিয়া গিউফ্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান প্রিন্স অ্যান্ড্রু। যদিও তিনি কোনো ভুল স্বীকার করেননি, তবে গিউফ্রের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *