পেট পরিষ্কার হচ্ছে না? কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আপনার জন্য সুখবর! সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন খাদ্য নির্দেশিকা জানাচ্ছে, প্রতিদিন ২-৩টি কিউই ফল খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বে প্রতি ৬-৭ জন মানুষের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভোগেন। উন্নত দেশগুলোতেও বয়স্কদের মধ্যে ৯% থেকে ২০% পর্যন্ত মানুষ ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত, যার কারণ এখনো অজানা। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে কারো কারো সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয়, মল শক্ত হয়ে যায় অথবা মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়।
এই নতুন খাদ্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ‘জার্নাল অফ হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স’ এবং ‘নিউরোগ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড মটিলিটি’। নির্দেশিকায় কিউই ফলের পাশাপাশি রাই রুটি ও উচ্চ খনিজ উপাদানযুক্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গবেষণাটির প্রধান লেখক ড. আইরিনি ডিমির মতে, এই নির্দেশিকা চিকিৎসকদের জন্য সুস্পষ্ট ও কার্যকরী পরামর্শ দিতে সহায়ক হবে। এর ফলে রোগীরা নিজেরাই তাদের সমস্যার সমাধানে আরও ভালোভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিউই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে দারুণ সহায়ক। এটি মলের পরিমাণ ও জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রোটিন হজমে সাহায্য করে এবং হজমতন্ত্রে খাদ্য উপাদান ও বর্জ্যের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখে। কিউই ফলে রয়েছে প্রিবায়োটিক উপাদান, যা অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডা. উইলিয়াম চেয় (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজির অধ্যাপক) এর মতে, কিউই ফল খাওয়ার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি সহজে হজম হয়। যাদের কিউই ফল পছন্দ না, তারা বিকল্প হিসেবে কিছু খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন – পাকা ফল, ফ্ল্যাক্সসিড, কমলালেবু, দই, শিম ও ওটমিল ইত্যাদি।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চারও গুরুত্ব রয়েছে। সামান্য হাঁটাচলাও হজমক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরামর্শগুলো মূলত ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য। অন্য কোনো রোগের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, এই নির্দেশিকাগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, এই আর্টিকেলে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। কোনো স্বাস্থ্যবিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন