পোর্টালে সেনা পাঠাতে ট্রাম্পের জয়, তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে। বিক্ষোভ দমনের নামে বিভিন্ন রাজ্যে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

খবর অনুযায়ী, ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে রায় দিয়েছে একটি ফেডারেল আপিল আদালত, তবে এখনো অনেক আইনি জটিলতা কাটেনি।

পোর্টল্যান্ডে ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন নিয়ে নিম্ন আদালতের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার নবম সার্কিট কোর্ট অব আপিলস-এর শুনানিতে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করা হয়।

আদালতের দুই জন বিচারক, যাদেরকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়োগ করেছিলেন, তাদের সমর্থন ছিল এই রায়ের পক্ষে। এর আগে, বিচারক কারিন ইমারগুট ফেডারেল সেনা মোতায়েনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ তারা বিভিন্ন রাজ্যে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোর সঙ্গে সেনা মোতায়েন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ও রাজ্য নেতারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বিক্ষোভকারীদের প্রতি একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া। মূলত, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভের জের ধরেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তবে, এখনই সেনা মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, নিম্ন আদালতের আরেকটি সিদ্ধান্ত এখনো বহাল রয়েছে, যা ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্যদের ওরেগনে মোতায়েন করতে বাধা দিচ্ছে।

ওরেগনের গভর্নর টিনা কোটেক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা তাদের পরিবার ও কর্মস্থল থেকে দূরে রয়েছেন এবং এই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

আদালতের রায়ে দ্বিমত পোষণ করে বিচারক সুসান পি. গ্রাবার বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। ওরেগনের অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যান রেইফিল্ডও এই রায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি প্রেসিডেন্টের একতরফা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

তিনি আদালতকে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, ইলিনয় ও শিকাগো শহরের কর্মকর্তারাও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের যুক্তি, রাজ্যে কোনো বিদ্রোহ বা ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি, তাই সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই।

টেনেসিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার সাতজন নির্বাচিত কর্মকর্তা গভর্নর এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, মেমফিসে সেনা মোতায়েন করে রাজ্যের সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সান ফ্রান্সিসকোতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন মেয়র ড্যানিয়েল লুরি।

তিনি বলেছেন, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ন্যাশনাল গার্ডের কোনো ভূমিকা নেই। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *