সোমবারের রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) দুটি খেলায় একদিকে যেমন ছিল মাঠ কাঁপানো পারফরম্যান্স, তেমনই আবার দেখা গেছে তারকা খেলোয়াড়ের গুরুতর আঘাত।
ডেট්රয়েট লায়ন্স এবং সিয়াটল সিহক্স – এই দুটি দলের জয়যাত্রা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অন্যদিকে, ট্যাম্পা বে বুকানিয়ার্সের তারকা খেলোয়াড়ের ইনজুরি দলের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে।
প্রথম খেলায় ডেট্রয়েট লায়ন্স ২৪-৯ ব্যবধানে ট্যাম্পা বে বুকানিয়ার্সকে পরাজিত করে।
লায়ন্সের হয়ে দৌড়বিদ (running back) জ্যামি গিবস ২১৮ গজ (প্রায় ১৯৯ মিটার) জায়গা অতিক্রম করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তার মধ্যে ১৩৬ গজ ছিল দৌড়ে এবং ৮২ গজ ছিল তিনটি পাসে। এই খেলায় তিনি দুটি টাচডাউনও করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পর কোনো লায়ন্স খেলোয়াড়ের এটাই সেরা পারফরম্যান্স।
খেলার পর লায়ন্সের কোচ ড্যান ক্যাম্পবেল গিবসের প্রশংসা করে বলেন, “আমরা জানতাম এমন একটা কিছু হতে যাচ্ছে।
গিবস ভালো ফর্মে আছে এবং সে তার পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে। সে আরও ভালো খেলবে এবং সামনে এগিয়ে যাবে।”
গিবসের অসাধারণ পারফরম্যান্সের দিনে দলের কোয়ার্টারব্যাক জ্যারেড গফ-এর খেলা ছিল কিছুটা নিস্তেজ, একটি ইন্টারসেপশন (প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের হাতে বল চলে যাওয়া) এবং একটি ফাম্বল (বল হাত থেকে পড়ে যাওয়া) করেন তিনি।
গিবসের খেলার প্রশংসা করে গফ বলেন, “তার (গিবস) ৭৯ গজের টাচডাউন রান দেখাটা দারুণ ছিল।
আমি মনে করি, মাঠের সবচেয়ে ভালো সিটে বসে খেলা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। তাকে (গিবস) ধরা সম্ভবত কোনো সেফটির (ডিফেন্ডার) পক্ষেই সম্ভব ছিল না।
সে খুবই দ্রুত দৌড়ায়, এটা দেখতে ভালো লাগে।”
দিনের দ্বিতীয় খেলায় সিয়াটল সিহক্স ২৭-১৯ পয়েন্টে হিউস্টন টেক্সানসকে পরাজিত করে।
খেলায় সিহক্সের হয়ে জ্যাকসন স্মিথ-নিগবা অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান।
তিনি আটটি ক্যাচে ১২৩ গজ (প্রায় ১১২ মিটার) এবং একটি টাচডাউন করেন। তার এই পারফরম্যান্স সিহক্সের জয়কে আরও নিশ্চিত করে।
সিহক্সের কোয়ার্টারব্যাক স্যাম ডার্নল্ড তার খেলোয়াড় জীবনের সেরা সময় পার করছেন।
তিনি বলেন, “জ্যাকসন এবং জাস্টিন (জেফারসন) দুজনেই খুব ভালো খেলোয়াড়।
তারা দুজনেই জানে কিভাবে নিজেদেরকে খেলার মধ্যে মেলে ধরতে হয়। তাদের খেলার ধরন আলাদা হলেও, তারা তাদের প্রতিপক্ষের দুর্বলতা সম্পর্কে অবগত থাকে।”
অন্যদিকে, ট্যাম্পা বে বুকানিয়ার্সের জন্য দুঃসংবাদ হলো, দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মাইক ইভান্স গুরুতর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারে একটি ক্যাচ ধরার সময় তার মাথায় আঘাত লাগে।
পরে জানা যায়, তার কলার বোন ভেঙে গেছে এবং তিনি সম্ভবত মৌসুমের অধিকাংশ ম্যাচেই খেলতে পারবেন না।
বুকানিয়ার্সের কোচ টড বোওলেস বলেন, “আমাদের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এভাবে মাঠ ছাড়বে, এটা খুবই দুঃখজনক।
আমরা তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
খেলাগুলো প্রমাণ করে, এনএফএল-এর প্রতিটি ম্যাচেই থাকে উত্তেজনা এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
খেলোয়াড়দের দক্ষতা, কৌশল এবং কঠোর পরিশ্রম দর্শকদের জন্য দারুণ উপভোগ্য করে তোলে খেলাটিকে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন