হোয়াইট হাউসের পূর্বাংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে নীরব মেলানিয়া ট্রাম্প, বিতর্কের জন্ম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের পূর্বাংশ, যা একসময় ফার্স্ট লেডিদের কাজের কেন্দ্র ছিল, তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বর্তমান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নীরবতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হোয়াইট হাউসের এই পূর্বাংশটি ভেঙ্গে সেখানে একটি নতুন বলরুম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা ছিল।
তবে এই বিষয়ে মেলানিয়া ট্রাম্পের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তার দপ্তর থেকেও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এর ফলে, অতীতে যারা এই অংশে কাজ করেছেন, তাদের অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
জানা যায়, কার্টার প্রশাসনের সময় থেকে হোয়াইট হাউসের এই অংশে ফার্স্ট লেডিদের দপ্তর স্থাপন করা হতো। এখন সেই অংশ ভেঙে ফেলায়, সেখানকার কর্মীদের অফিস অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে খুব কম সময় কাটিয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় নিউ ইয়র্ক এবং পাম বিচে কাটান।
তার অফিসের কর্মীর সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে মাত্র পাঁচজন পূর্ণ-সময়ের কর্মী রয়েছেন, যাদের অফিসের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পূর্বাংশে আগে ফার্স্ট লেডির দপ্তর এবং সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার স্থান ছিল। এখন এই দপ্তরগুলো হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগের ফার্স্ট লেডিদের তুলনায় মেলানিয়া ট্রাম্পের এই ভূমিকা ভিন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, মেলানিয়া হোয়াইট হাউস সংরক্ষণে বেশ সক্রিয় ছিলেন।
তিনি ব্লু রুমের আসবাবপত্র পুনরুদ্ধার এবং রোজ গার্ডেন পুনর্গঠনের মতো কাজে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এবার, তার স্বামীর প্রধান প্রকল্পগুলোতে তিনি তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফার্স্ট লেডির এই নীরবতা ইঙ্গিত করে যে, তিনি তার স্বামীর মতোই ঐতিহ্য থেকে দূরে থাকতে চান।
এদিকে, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন এক টুইট বার্তায় এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটা তার বাড়ি নয়, এটা আপনাদের বাড়ি, আর তিনি এটা ধ্বংস করছেন।’
তথ্য সূত্র: সিএনএন