দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সাল থেকে এই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল।
সম্প্রতি, এই পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রবিবার, কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ইন্ডিগো বিমান স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিমানটি গুয়াংজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগে, এই রুটে ভ্রমণ করতে সিঙ্গাপুর হয়ে একাধিক ফ্লাইট পরিবর্তন করতে হতো, যা সময় এবং অর্থ দুটোই বেশি খরচ করত।
এখন সরাসরি ফ্লাইটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দ্রুত সময়ে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতার বস্ত্র ও পাট শিল্পের সঙ্গে চীনের বাজারের সংযোগ স্থাপন সহজ হবে।
চীন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ই নভেম্বর থেকে সাংহাই-দিল্লি রুটে পুনরায় বিমান পরিষেবা চালু করতে চলেছে চীন ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। এছাড়াও, ১০ই নভেম্বর থেকে দিল্লি-গুয়াংজু রুটে ইন্ডিগো নতুন ফ্লাইট চালু করবে।
এই পদক্ষেপের ফলে ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উভয় দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।
সম্প্রতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-য়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়া একটি ইতিবাচক ঘটনা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের সম্পর্ক বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে, এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
কারণ, এর মাধ্যমে বাণিজ্য এবং যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।