ভয়ংকর আঘাত! ইউক্রেনের আক্রমণে তেলের উৎপাদন ২০% কমাল রাশিয়া!

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার তেল পরিশোধনের ক্ষমতা ২০ শতাংশ কমে গেছে, জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি এই কথা বলেন।

রাশিয়ার অভ্যন্তরে চালানো এসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ৯০ শতাংশের বেশি ইউক্রেনেই তৈরি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও জানান, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আরও বেশি তৈরি করতে ইউক্রেনের অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশটির তেলের রপ্তানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে যখন ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চাইছে মস্কোর তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে আয়ের পথ বন্ধ করে দিতে।

প্রায় চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ক্রেমলিন এখনো কোনো আপস করতে রাজি নয়।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কোম্পানি রোজনেফট ও লুকোয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

জেলেনস্কি মনে করেন, ট্রাম্প সম্ভবত রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি অথবা তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এই পদক্ষেপ নেবেন।

রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। জেলেনস্কি বলেন, ভারত সম্ভবত রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের আমদানি কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ক্রয় আরও কমানো নিয়ে আলোচনা হবে।

অন্যান্য খবরে জেলেনস্কি আরও জানান, রাশিয়ার হামলা বেড়ে যাওয়ায় শীতকালে গ্যাস আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করেছে ইউক্রেন।

আগামী মাসের মধ্যে তারা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৮০০ ইন্টারসেপ্টর তৈরি করতে পারবে, যা রাশিয়ার শাহেদ ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে কাজে লাগবে। তবে এর জন্য অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রয়োজন।

এছাড়াও, চলতি বছরে পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী ২,২০০ জন রুশ সেনাকে বন্দী করেছে। বর্তমানে রাশিয়া সেখানকার পোক্রোভস্ক শহর দখলের চেষ্টা করছে, যেখানে ইউক্রেন অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছে।

ইউক্রেন তাদের ভবিষ্যতের সামরিক বিমান সক্ষমতা বাড়াতে সুইডেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মোট ২৫০টি নতুন যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করার আবেদন করেছেন।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *