লুভরo হেয়াস্তেo জড়িতo স্থানীয়o ছিঁচকেo চোর!

বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত জাদুঘর, প্যারিসের লুভরে সংঘটিত হওয়া এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসে সংঘটিত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কোনো সুসংগঠিত অপরাধ চক্রের সদস্য নয়, বরং স্থানীয় কিছু ছোটখাটো অপরাধী।

প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলি লর বেকুও এই তথ্য জানিয়েছেন।

ফরাসি কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। এদের সবাই প্যারিসের উত্তরের শহরতলির সেইন-সাঁ-দেনির বাসিন্দা।

আটককৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ৩৭ বছর এবং তার বিরুদ্ধে আগে ১১টি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ১০টি ছিল ডাকাতির মামলা।

সরকারি কৌঁসুলি বেকুও ফ্রান্স ইনফো রেডিও স্টেশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, লোকটির অপরাধের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে, তবে এর সঙ্গে সুসংগঠিত অপরাধ চক্রের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরেকজন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ১৫টি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ডাকাতির মামলা। এই দুজন ব্যক্তি ২০১৫ সালে প্যারিসে সংঘটিত একই ধরনের একটি ডাকাতির ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিল।

এছাড়াও, আটক হওয়া এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত পুরুষদের একজনের।

সরকারি কৌঁসুলি বেকুও আরও জানান, “তারা স্পষ্টতই স্থানীয় বাসিন্দা।

লুভর জাদুঘরের এই আলোচিত চুরির ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি পুলিশ।

গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়া আরও দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।

আটককৃতদের প্রোফাইল সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারি কৌঁসুলি বেকুও বলেন, “আমি এতে খুব একটা বিস্মিত নই। আমরা এখন দেখছি, সুসংগঠিত অপরাধ চক্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই এমন ব্যক্তিরাও খুব দ্রুত গুরুতর অপরাধের দিকে ঝুঁকছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর লুভর জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান অ্যাপোলো গ্যালারিতে হানা দেয় চোরেরা।

এই গ্যালারিতে ফরাসি রাজপরিবারের মূল্যবান অলঙ্কার রাখা ছিল।

তারা একটি ট্রাকের সাহায্যে গ্যালারির জানালা দিয়ে প্রবেশ করে এবং দুটি সুরক্ষিত শোকেস ভেঙে দেয়।

এরপর তারা কুইন মেরি-অ্যামেলি এবং কুইন হর্টেনসের ব্যবহৃত হীরা ও নীলার তৈরি মূল্যবান গয়না সহ নয়টি জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *