যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর অর্থনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য ফ্লোরিডার শহর মায়ামিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন। এই আয়োজনটি তাঁর একটি পুরনো নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবারের এই অনুষ্ঠানে তিনি ব্যবসায়ী নেতা এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মিলিত হবেন, যেখানে তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয় থাকবে তাঁর অর্থনৈতিক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা।
হোয়াইট হাউজের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, আমেরিকান বিজনেস ফোরামে দেওয়া তাঁর ভাষণে ট্রাম্প তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং কিভাবে তিনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এমন একটি সময়ে যখন আমেরিকার সাধারণ মানুষ জীবনযাত্রার উচ্চ খরচ এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য সেই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রার মান ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়।
জানা গেছে, ট্রাম্প তাঁর ভাষণে নিয়ন্ত্রণ হ্রাস, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং তেলের দামের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। গত সপ্তাহে তিনি মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। এই সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাণিজ্য বিষয়ক উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন।
জাপানে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও প্রযুক্তি প্রকল্পের ঘোষণা করেন, যেগুলোতে জাপানের পক্ষ থেকে অর্থায়ন করা হবে।
মায়ামি শহরের মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ মনে করেন, ট্রাম্পের এই সফর তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। সুয়ারেজ আরও জানান, এই ফোরামটি দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা মিলকেন ইনস্টিটিউট গ্লোবাল কনফারেন্সের মতো, যেখানে বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা একত্রিত হন।
ট্রাম্পের এই সফর মায়ামির জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বছর এখানকার ডোর্যালে অবস্থিত তাঁর গলফ ক্লাবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমালোচকরা যদিও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
এছাড়া, ট্রাম্প তাঁর ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি মায়ামিতে স্থাপন করতে চান। বর্তমানে শহরের একটি জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা চলছে।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপেও মায়ামি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হতে চলেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
অনুষ্ঠানে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোরও বক্তৃতা করার কথা রয়েছে, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস