শিরোনাম: লুইসভিলের আকাশে ইউপিএস কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, তদন্তে ব্ল্যাক বক্স ও ইঞ্জিনের দিকে নজর
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল শহরে একটি ইউপিএস কার্গো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। বিমানবন্দরের কাছে মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তকারীরা ব্ল্যাক বক্স এবং বিমানের ইঞ্জিনের অবস্থা খতিয়ে দেখছেন।
বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের (NTSB) তদন্তকারীরা তাদের কাজ শুরু করেছেন।
বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে, যা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এনটিএসবি’র সদস্য টড ইনম্যান জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সে তাপ লেগেছে, তবে এর ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়নি।
এই তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার কারণে আশেপাশের এলাকায় ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েক মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাধারণত বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়।
এর মধ্যে বিমানের কারিগরি ত্রুটি, পাইলটদের দক্ষতা এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতি অন্যতম। এছাড়া, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের বাম ইঞ্জিনটি উড্ডয়নের সময় খুলে গিয়েছিল।
তাই ইঞ্জিনের অবস্থা এবং এটি কোথায় পড়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিমানের সর্বশেষ রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিমানের ব্ল্যাক বক্স, ইঞ্জিনের অবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) এবং NTSB যৌথভাবে এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে।
দুর্ঘটনার কারণ দ্রুত খুঁজে বের করতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন