যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আরোপিত শুল্ক নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। এই শুনানির মূল বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ ছিল।
ট্রাম্পের আইনজীবী ডি. জন সয়ার যুক্তি তুলে ধরেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এই শুল্ক অপরিহার্য ছিল।
শুনানিতে বিচারপতিরা শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ট্রাম্পের আইনজীবী সয়ারের বক্তব্য ছিল, বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে আমেরিকার অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। তাই এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, আদালত কক্ষে অন্য পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, জরুরি অবস্থার মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের (International Emergency Economic Powers Act – IEEPA) অধীনে শুল্ক আরোপের কোনো সুযোগ নেই। এই আইনের মাধ্যমে সাধারণত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, কিন্তু শুল্ক আরোপের নজির নেই।
আদালতে শুনানিতে বিচারপতিদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা গেছে। কয়েকজন বিচারপতি মনে করেন, এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ক্ষমতা অতিক্রম করেছে। আবার কেউ কেউ এই শুল্কের ফলে সৃষ্ট জটিলতা কিভাবে সমাধান করা হবে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এই মামলার রায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, এই ধরনের শুল্ক বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
আদালতের শুনানির ফলাফল এখনো জানা যায়নি। তবে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে, বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে, তা এই রায়ের ওপর নির্ভরশীল।
তথ্যসূত্র: সিএনএন