শিশুদের সামনে শিক্ষককে ধরে নিয়ে গেল ICE! স্তম্ভিত শিকাগো

শিকাগোতে একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিক্ষককে আটকের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টের সদস্যরা ওই শিক্ষিকাকে শিশুদের সামনেই আটক করে নিয়ে যায়। বুধবার দিনের বেলা শিকাগোর একটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত শিক্ষিকার নাম ডায়ানা প্যাট্রিসিয়া সানটিলানা গ্যালেইনো। তিনি ‘রেয়িতো দে সোল স্প্যানিশ ইমার্সন আর্লি লার্নিং সেন্টার’-এ শিক্ষকতা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যখন শিশুদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই আইস-এর এজেন্টরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে।

এরপর তারা গ্যালেইনোকে আটক করে এবং হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য (রিপ্রেজেনটেটিভ) মাইক কুইগলি এটিকে ‘মানবিকতার অভাব’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে আইস এজেন্টরা কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই একজন শিক্ষকের পেছনে ধাওয়া করে এবং ছাত্রদের সামনে তাকে তুলে নিয়ে যায়।’

ডেমোক্র্যাট দলের এই কংগ্রেস সদস্য আরও জানান, গ্যালেইনো একজন নির্ভরযোগ্য এবং সম্প্রদায়ের প্রিয় ব্যক্তি, যিনি বৈধভাবে কাজের অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) সহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন।

অন্যদিকে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) একজন মুখপাত্র ঘটনার ভিন্ন বয়ান দিয়েছেন। তাদের দাবি, গ্যালেইনোর গাড়ি আটকাতে গেলে তিনি পালিয়ে যান এবং দিবাযত্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। ডিএইচএস-এর মতে, গ্যালেইনো ২০২৩ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করেছেন।

দিবাযত্ন কেন্দ্রের একজন প্রতিনিধি মারিয়া গুজম্যান এই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেস সদস্য ডেলিয়া রামিরেজ বলেছেন, তিনি দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা নিজেদের জীবন নিয়ে ভীত ছিলেন।

তিনি জানান, এই ঘটনার একটি ফেডারেল পর্যালোচনা করার জন্য তিনি তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিষয়ক নীতি বেশ কঠোর। আইস-এর কাজ হলো অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। বিভিন্ন সময়ে আইস-এর কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনার পর গ্যালেইনোর সমর্থনে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আইস-এর কার্যক্রমের সমালোচনা করেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *