গাজা থেকে ফেরা নিহত জিম্মিদের মধ্যে তানজানিয়ার এক শিক্ষার্থীর দেহাবশেষ শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, গত বুধবার গাজা থেকে ফেরত আসা একজন জিম্মির দেহাবশেষ হলো তানজানিয়ার নাগরিক জোশুয়া লোইটু মোল্লেলের।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-এর নেতৃত্বাধীন হামলায় নিহত হন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি।
২১ বছর বয়সী জোশুয়া ইসরায়েলের একটি কৃষি খামারে (কিবুৎজ) কাজ করতেন। ঘটনার ১৯ দিন আগে তিনি তানজানিয়া থেকে সেখানে এসেছিলেন।
কৃষিকাজ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি ইসরায়েলে এসেছিলেন, যা তিনি দেশে ফিরে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। হামাসের হামলায় নিহত হওয়ার পর তাঁর মরদেহ শনাক্ত করতে এত দিন লেগে যায়।
জোশুয়ার পরিবারকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁর পরিবারে বাবা-মা এবং চার ভাই-বোন রয়েছেন।
নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ‘জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম’।
যুদ্ধ বিরতির অংশ হিসেবে হামাস নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত পাঠাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত হামাস ২২ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
এই মুহূর্তে গাজায় আরও ৬ জন জিম্মির মরদেহ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে থাইল্যান্ডের নাগরিক সুদথিসাক রিন্থালকের মরদেহও রয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর হামাস জীবিত অবস্থায় ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই চুক্তির মূল শর্ত ছিল, হামাস যত দ্রুত সম্ভব জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে। ইসরায়েল ও হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ করলেও, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ২৮৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। তবে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষার কিট-এর অভাবে মরদেহ শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল ঠিক কতজনের মরদেহ তাদের কাছে আছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত পাওয়ার পর, তারা গাজা থেকে ১৫ জনের মরদেহ ফেরত পাঠাচ্ছে।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মরদেহ উদ্ধার করা কঠিন। তারা কয়েক দিন পর পর এক থেকে তিনটি মরদেহ ফেরত পাঠাচ্ছে।
ইসরায়েল দ্রুত মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল দাবি করেছে, ফেরত আসা মরদেহগুলো জিম্মিদের নয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস