ফের ক্ষমতায় ট্রাম্প, অভিবাসন বিতর্কে এরিক প্রিন্সের চাঞ্চল্যকর প্রস্তাব!

শিরোনাম: বিতর্কিত ব্যবসায়ী এরিক প্রিন্স: ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাবর্তনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের আলোচনার মধ্যে ব্ল্যাকওয়াটার সামরিক ঠিকাদার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এরিক প্রিন্সের নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিতর্কিত এই ব্যবসায়ী ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং তিনি অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করতে চাচ্ছেন।

খবরে প্রকাশ, এরিক প্রিন্স দীর্ঘদিন ধরেই রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গে যুক্ত এবং ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (সংক্ষেপে ‘ম্যাগা’) আন্দোলনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একসময় বিভিন্ন দেশে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করে সমালোচিত হয়েছিলেন।

ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন সরকারের হয়ে কাজ করার সময় তার প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকওয়াটারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ব্ল্যাকওয়াটারের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের ক্ষমা করে দেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এরিক প্রিন্স সবসময়ই ক্ষমতাধরদের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন এবং রিপাবলিকান সরকার ক্ষমতায় থাকলে তার ব্যবসার সুযোগ বাড়ে। শোনা যাচ্ছে, তিনি এবার ১২ মিলিয়ন অভিবাসীকে বিতাড়িত করার একটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী।

এরিক প্রিন্সের ব্যবসায়িক আগ্রহ শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সীমাবদ্ধ নয়। জানা যায়, তিনি ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কাজ করছেন।

দেশটির বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সহায়তা করার জন্য তিনি ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এর আগে, ২০১৬ সালে তিনি একই ধরনের একটি প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।

এছাড়াও, এরিক প্রিন্স সম্প্রতি ইকুয়েডরের সঙ্গে একটি ‘কৌশলগত জোট’ গঠন করেছেন, যার মাধ্যমে দেশটির অপরাধ দমনের কার্যক্রমকে সহায়তা করার কথা রয়েছে।

প্রিন্স বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য গোয়েন্দা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন।

তবে, প্রিন্সের এসব পরিকল্পনার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

তিনি সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। কিন্তু তার রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক আগ্রহ, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপটে, নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *