প্লাস সাইজের যাত্রীর ভ্রমণের গোপন রহস্য! আরামদায়ক ফ্লাইটের ১৫টি অত্যাবশ্যকীয় জিনিস, দাম শুরু মাত্র…

বিমান ভ্রমণে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কিছু জিনিস: অভিজ্ঞদের পরামর্শ। আজকের যুগে বিমান ভ্রমণ আমাদের জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কর্মক্ষেত্র হোক বা অবকাশ, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে বিমানের জুড়ি মেলা ভার। তবে দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের সময় কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সিটের জায়গা কম হওয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে শরীরে অস্বস্তি—এমন অনেক কিছুই ভ্রমণকে কঠিন করে তোলে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে কিছু জরুরি জিনিস সঙ্গে রাখা যেতে পারে, যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে।

সম্প্রতি, একজন অভিজ্ঞ ভ্রমণ সাংবাদিক দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের সময় আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ১৫টি প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করেছেন। চলুন, সেই তালিকা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১. আরামদায়ক জুতো: দীর্ঘ ভ্রমণে আরামদায়ক জুতো খুবই জরুরি। হালকা ও সহজে পরার মতো জুতো, যেমন – স্লিপ-অন স্নিকার্স (Slip-on sneakers) এক্ষেত্রে দারুণ হতে পারে।

এ ধরনের জুতো বিমানে ওঠার আগে এবং নামার সময় সহজে পরা ও খোলা যায়।

২. উপযুক্ত ব্যাকপ্যাক: ভ্রমণের সময় জিনিসপত্র বহন করার জন্য একটি ভালো ব্যাকপ্যাক প্রয়োজন। ব্যাকপ্যাকটি যথেষ্ট জায়গা সম্পন্ন হওয়া চাই, যাতে ল্যাপটপ, বই, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যেতে পারে।

আরামের জন্য, ব্যাকপ্যাকের স্ট্র্যাপগুলো সহজে সামঞ্জস্য করার মতো হওয়া দরকার।

৩. পায়ের জন্য বিশ্রাম: বিমানের সিটগুলো অনেক সময় দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক থাকে না। বিশেষ করে যাদের সিটের স্থান নিয়ে সমস্যা হয়, তাদের জন্য পায়ের বিশ্রাম খুবই প্রয়োজনীয়।

একটি ছোটো, সহজে বহনযোগ্য পায়ের বিশ্রাম (Foot Rest Pillow) সিটের নিচে রেখে পা সামান্য উপরে তুলে বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে।

৪. সিটবেল্ট এক্সটেন্ডার: যদি সিটবেল্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়, তবে সিটবেল্ট এক্সটেন্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বিমানের কর্মীদের কাছ থেকে এটি চাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে নিজের কাছে থাকলে তা ব্যবহারের স্বাধীনতা পাওয়া যায়।

৫. সিট কুশন: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে কোমর ও নিতম্বে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি সিট কুশন (Seat Cushion) বেশ আরাম দিতে পারে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিট কুশন পাওয়া যায়, যা ভ্রমণের সময় খুবই উপযোগী।

৬. হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান: গরম আবহাওয়ায় ভ্রমণের সময় একটি হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান (Handheld Fan) সাথে রাখা ভালো। এটি আপনাকে গরম থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ভ্রমণের সময় সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।

৭. অ্যান্টি-চ্যাফিং বাম: ভ্রমণের সময় চামড়ার ঘর্ষণে অনেক সময় অস্বস্তি হতে পারে। অ্যান্টি-চ্যাফিং বাম (Anti-chafe Balm) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

৮. কমপ্রেশন মোজা: দীর্ঘ ভ্রমণে পায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কমপ্রেশন মোজা (Compression Socks) পরা উপকারী। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৯. পোর্টেবল বিডেট: ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির জন্য একটি পোর্টেবল বিডেট (Portable Bidet) সঙ্গে রাখা ভালো। এটি ভ্রমণের সময় পরিচ্ছন্ন থাকতে সাহায্য করে।

১০. আরামদায়ক পোশাক: হোটেল বা বিমানের ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক, যেমন – বাথরোব (Bathrobe) সঙ্গে রাখা যেতে পারে।

১১. বিচ টায়েল: ভ্রমণে সমুদ্র বা সুইমিং পুলে গেলে একটি ভালো বিচ টায়েল (Beach Towel) সঙ্গে রাখা অপরিহার্য।

১২. ভ্রমণের জন্য কম্বল: বিমানে ঠান্ডা লাগলে একটি হালকা কম্বল (Travel Blanket) ব্যবহার করা যেতে পারে।

১৩. প্যাকিং কিউব: আপনার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য প্যাকিং কিউব (Packing Cubes) ব্যবহার করতে পারেন। এতে লাগেজের জিনিসপত্র সহজে খুঁজে পাওয়া যায় এবং জায়গা সাশ্রয় হয়।

১৪. আন্ডারসিট স্যুটকেস: ছোট্ট একটি স্যুটকেস, যা সিটের নিচে রাখা যায় (Underseat Suitcase), ভ্রমণের সময় খুব কাজে আসে। এতে প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন – ল্যাপটপ, চার্জার, ইত্যাদি হাতের কাছেই থাকে।

১৫. নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন: শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে এবং গান শোনার জন্য নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন (Noise-canceling headphones) খুবই উপযোগী।

উপরে উল্লেখিত জিনিসগুলো আপনার বিমান ভ্রমণকে আরও সহজ ও আনন্দ-দায়ক করতে পারে। এছাড়াও, ভ্রমণের সময় নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।

আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করতে, এই জিনিসগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল এন্ড লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *