**ম্যাক্রন: ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে রাশিয়ার অনুমতির প্রয়োজন নেই**
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার অনুমতির অপেক্ষা করবে না। কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সীমিত সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লে প্যারিসিয়ান’ ও ‘লা দেপেশ দে মিদি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ম্যাক্রন জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে ‘কয়েক হাজার সেনা’ পাঠানোর জন্য ‘কয়েকটি ইউরোপীয় এবং ইউরোপের বাইরের’ দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই সেনারা ইউক্রেনের ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে এবং ইউক্রেনের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী সমর্থন প্রদর্শন করবে।
ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে এই সেনা পাঠানো হতে পারে, যা ইউক্রেনের জন্য ‘নিরাপত্তার নিশ্চয়তা’ হিসেবে কাজ করবে।
ম্যাক্রন আরও বলেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে পারে না, যদি না তারা নিরাপত্তা গ্যারান্টি পায়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন সেনা পাঠানোর বিরোধিতা করা হলেও ম্যাক্রন জোর দিয়ে বলেছেন, এক্ষেত্রে মস্কোর অনুমতির প্রয়োজন নেই।
কারণ ইউক্রেন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘যদি ইউক্রেন তাদের ভূখণ্ডে মিত্র শক্তিকে চায়, তাহলে রাশিয়া তা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার মালিক নয়।’
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ম্যাক্রন সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের সভাপতিত্বে শনিবার ৩০টি দেশের আন্তর্জাতিক নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ম্যাক্রন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের নেতারা অংশ নেন।
স্টারমার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি হতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিত্র দেশগুলো ক্রেমলিনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে এবং একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের পরিকল্পনাকে ‘কার্যকরী পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
বৈঠকের পর ম্যাক্রন জানান, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়।
তিনি বলেন, রাশিয়া ‘শান্তি চায়’ এমন কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং রুশ প্রেসিডেন্ট ‘সংঘাত আরো বাড়াচ্ছেন’ এবং ‘সবকিছু পেতে চান, তারপর আলোচনা করতে চান’।
ম্যাক্রন আরও বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই একটি সুস্পষ্ট জবাব দিতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান