যুগান্তরের পর জয়! লিভারপুলকে হারিয়ে নিউক্যাসলের ঐতিহাসিক কাপ জয়

নিউক্যাসল ইউনাইটেড: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কারাবাও কাপ জয়

দীর্ঘ ৬৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে অবশেষে আনন্দের জোয়ারে ভাসল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত কারাবাও কাপের ফাইনালে তারা ২-১ গোলে পরাস্ত করে শক্তিশালী লিভারপুলকে।

এই জয়ের মধ্যে দিয়ে নিউক্যাসলের সমর্থকেরা যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ১৯৫৫ সালের পর এই প্রথম কোনো ঘরোয়া ট্রফি জিতল নিউক্যাসল।

স্বাভাবিকভাবেই, সমর্থকদের মধ্যে ছিল চরম উত্তেজনা। ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দলের খেলোয়াড়েরা ছিলেন আক্রমণাত্মক।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ড্যান বার্নের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। এর পরেই যেন তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।

বিরতির পর, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলেকজান্ডার ইসাকের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফিদেরিকো কিয়েসা লিভারপুলের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

নিউক্যাসলের এই জয়ে দলের ম্যানেজার এডি হাওয়ের অবদান অনস্বীকার্য। ২০২১ সালের নভেম্বরে যখন তিনি দলের দায়িত্ব নেন, তখন নিউক্যাসল প্রিমিয়ার লিগের অবনমন অঞ্চলের কাছাকাছি ছিল।

কিন্তু হাওয়ে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তিনি দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন এবং দলটিকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

মাঝমাঠের খেলোয়াড় ব্রুনো গুইমারেস, জোয়েলিংটন এবং আক্রমণভাগের আলেকজান্ডার ইসাক ছিলেন অসাধারণ ফর্মে। সেই সাথে দলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তা ছিল চোখে পড়ার মতো।

অন্যদিকে, লিভারপুল দলটির জন্য এই পরাজয় ছিল হতাশাজনক। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায়ের পর তারা ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল।

তবে, নিউক্যাসলের দৃঢ় মানসিকতা এবং অসাধারণ পারফরম্যান্সের সামনে তারা পেরে ওঠেনি।

খেলা শেষে নিউক্যাসল সমর্থকদের উল্লাস ছিল বাঁধনহারা। দীর্ঘদিন পর তাদের প্রিয় দল ট্রফি জেতায়, যেন তাদের আনন্দের সীমা ছিল না।

এই জয় নিউক্যাসলের খেলোয়াড়, কোচ এবং সমর্থকদের জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *