এশিয়ার শেয়ার বাজারে সোমবার ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। বিশেষ করে, চীনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের উল্লেখযোগ্য উত্থান এর পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনের পর মার্কিন শেয়ার বাজার সবচেয়ে ভালো দিন পার করেছে।
দিনের শুরুতে, হংকং-এর হ্যাং সেং সূচক ১.৩ শতাংশ বেড়ে ২৪,২৭৬.৬৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচকও ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৪২৯.৩০ পয়েন্টে।
চীন সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটির শিল্প উৎপাদন প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে, খুচরা বিক্রিও বেড়েছে ৪ শতাংশ।
তবে, দেশটির আবাসন বাজারে এখনো দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে, কারণ বাড়ির দাম কমছে এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ১.৩ শতাংশ বেড়েছে এবং এটি ৩৭,৫৩৯.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ২,৬0৮.৬৮ পয়েন্টে।
অস্ট্রেলিয়ার এসএন্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক ০.৬ শতাংশ বেড়েছে এবং তাইওয়ানের তাইইয়েক্স সূচক ০.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংককের সেট সূচক অবশ্য ০.৭ শতাংশ কমেছে।
শুক্রবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তবে টানা চার সপ্তাহ ধরে লোকসানের ধারা অব্যাহত ছিল, যা আগস্ট মাসের পর থেকে দীর্ঘতম সময়।
এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ২.১ শতাংশ বেড়ে ৫,৬৩৮.৯৪ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। ডাউ জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ১.৭ শতাংশ এবং নাসডাক কম্পোজিট ২.৬ শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য ভোক্তাদের আরও বেশি খরচ করা প্রয়োজন। তবে, এর জন্য বৃহত্তর এবং মৌলিক সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করা দরকার, যা মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে এবং তাদের ব্যয় করার ক্ষমতা বাড়াবে।
শেয়ার বাজারের এই উত্থান-পতনের কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ফেডারেল ব্যয়ের সম্ভাব্য কাটছাঁট নিয়ে উদ্বেগ এখনো বিদ্যমান।
এছাড়াও, মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা তাদের ব্যয় করার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
অপরিশোধিত তেলের বাজারেও সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬৭.৬৬ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৮ সেন্ট বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ক্রুডের দামও সামান্য বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭১.০৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের দর বেড়েছে, যেখানে ইউরোর দর সামান্য কমেছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস