মৃত্যুঞ্জয়ী প্রেম: জীবন-মরণ সিনেমার জাদু!

যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে নির্মিত, ‘এ ম্যাটার অফ লাইফ অ্যান্ড ডেথ’ ক্লাসিক সিনেমার মঞ্চ রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। থেরেসা হেসকিন্স-এর পরিচালনায়, ডেভিড নিভেনের চরিত্রে টমাস ডেনিস এবং জুন চরিত্রে কায়লাহ কোপল্যান্ড-এর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের পরে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমাটি। গল্পটি পিটার কার্টার নামের এক ব্রিটিশ বিমান চালকের জীবন নিয়ে, যিনি আকাশ থেকে প্যারাসুট ছাড়াই পরে যান এবং জুন নামের এক আমেরিকান রেডিও অপারেটরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।

গল্পের মোড় নেয় যখন তার জীবন এক স্বর্গীয় বিচারের সম্মুখীন হয়, যেখানে তার ভালোবাসাই তার জীবনের ভাগ্য নির্ধারণ করে।

মঞ্চের এই রূপান্তরটিতে পরিচালক হেসকিন্স মূল সিনেমার বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রেখেছেন, যা দর্শকদের নস্টালজিক করে তোলে। সিনেমার আবহ ধরে রাখতে এতে সময়ের গান ব্যবহার করা হয়েছে, যা যুদ্ধের সময় মানুষের মনস্তত্ত্ব ফুটিয়ে তোলে।

আকিনটায়ো আকিনবোদের সঙ্গীত পরিচালনায় শিল্পীরা গভীরতা এবং শোকের অনুভূতি নিয়ে এসেছেন, যদিও কিছু সমালোচক একে উদযাপনধর্মী নয় বলে মনে করেন।

ছবিতে ব্যবহৃত গানগুলো, যেমন ‘ব্লু স্কাইস’ এবং ‘হোন দ্য লাইটস গো অন এগেইন’, গল্পের আশা ও ভালো সময়ের প্রতীক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে।

মঞ্চের দৃশ্যসজ্জাটিও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লরা ম্যাকিউইন-এর তৈরি ঘূর্ণায়মান সেট স্বর্গের ধারণা ফুটিয়ে তোলে। এছাড়াও, মূল সিনেমার রঙিন দৃশ্য এবং সাদা-কালো অংশের পরিবর্তনগুলিও এখানে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ছবিতে ফরাসি বিপ্লবের এক কর্মকর্তার চরিত্রে মাইকেল হুগো এবং অন্যান্য চরিত্রে পল্লি লিস্টার-এর অভিনয় দর্শককে আকৃষ্ট করে।

তবে, কিছু সমালোচকের মতে, এই নাট্যরূপটিতে মূল সিনেমার মতো নিজস্বতা এবং সাহসিকতার অভাব রয়েছে। এটি মূল গল্পের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু নতুন কিছু যোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

নিউ ভিক, নিউক্যাসল-আন্ডার-লাইম-এ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই নাটকটি প্রদর্শিত হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *