শিরোনাম: ‘আরেকটি সিম্পল ফেভার’-এর ক্লাইম্যাক্স: কে বাঁচল, আর কেন?
হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘আ সিম্পল ফেভার’-এর সিক্যুয়েল ‘আরেকটি সিম্পল ফেভার’। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ব্লেক লাইভলি এবং আনা কেন্দ্রিক। প্রথম সিনেমাটির মতোই, এই সিক্যুয়েলেও রয়েছে রহস্য, প্রেম এবং প্রতিশোধের গল্প।
ইতালির মনোরম পরিবেশে ধারণ করা এই সিনেমার শেষ দৃশ্যে ঘটে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সিনেমার শেষে কী ঘটেছিল।
গল্পের শুরুটা হয় এমিলি (ব্লেক লাইভলি) এবং স্টেফানির (আনা কেন্দ্রিক) বন্ধুত্বের সূত্র ধরে। আগের ঘটনার পাঁচ বছর পর, এমিলি কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এরপর সে স্টেফানিকে ইতালিতে তার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানায়।
এমিলির হবু বর ছিলেন ডান্তে ভার্সানো (মিশেল মরোন)। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্টেফানি নানা রকম সন্দেহজনক ঘটনা দেখতে পান। এমিলির আসল পরিচয় এবং তার পরিবারের গোপন রহস্য ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে।
জানা যায়, এমিলির আসল নাম হলো হোপ ম্যাকলেনডেন। তার মা এবং ফুফুর উপস্থিতিতে গল্প নতুন মোড় নেয়। এরপর শুরু হয় একের পর এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
বিয়ের রাতে ডান্তেকে গুলি করে হত্যা করা হয়, আর স্টেফানির ওপর আসে খুনের অভিযোগ। এরপর আসল ঘটনা জানতে শুরু করে দর্শক।
জানা যায় এমিলির আরও দুই বোন রয়েছে, যাদের একজন হলো চ্যারিটি। চ্যারিটি নামের এই বোনটিই ছিল সবকিছুর মূল পরিকল্পনাকারী। সে এমিলির জীবন কেড়ে নিতে চেয়েছিল, যাতে সে ডান্তের সম্পত্তির অধিকারিণী হতে পারে।
তবে গল্পের শেষে এমিলি এবং স্টেফানির বুদ্ধির কাছে হারে চ্যারিটি। এমিলি তার বোনকে সব দোষ নিজের কাঁধে নিতে রাজি করায়। এরপর চ্যারিটিকে কারাবন্দী করা হয়।
অন্যদিকে, এমিলি নতুন পরিচয়ে আত্মগোপন করে এবং স্টেফানির কাছে তার ছেলেকে রেখে যায়। সিনেমার শেষে, এমিলির প্রাক্তন শ্বশুর তাকে একটি ‘সাধারণ অনুগ্রহ’ করতে বলেন, যা সম্ভবত সিক্যুয়েলের ইঙ্গিত দেয়।
‘আরেকটি সিম্পল ফেভার’ সিনেমায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মারা যায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—
- শন টাউনসেন্ড: এমিলির প্রাক্তন স্বামী, যাকে বিয়ের আগের রাতে হত্যা করা হয়।
- ডান্তে ভার্সানো: এমিলির হবু বর, যাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে হত্যা করা হয়।
- একজন এফবিআই এজেন্ট: স্টেফানির তদন্তের সময় এই এজেন্ট খুন হয়।
- মার্গারেট ম্যাকলেনডেন: এমিলির মা, যিনি তার মেয়ের গোপন কথা স্টেফানির কাছে প্রকাশ করার কারণে খুন হন।
- আন্ট লিন্ডা ম্যাকলেনডেন: চ্যারিটিকে মানুষ করার পেছনে এই ফুফুর হাত ছিল এবং সেও চ্যারিটির হাতে নিহত হয়।
এই সিনেমার ক্লাইম্যাক্স দর্শকদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত। গল্পের শেষে এমিলি তার বোনের মাধ্যমে নিজেকে আড়াল করে এবং নতুন জীবন শুরু করে। একইসঙ্গে, স্টেফানি তার বন্ধু এমিলির জীবনের রহস্য উন্মোচন করে নতুন করে পরিচিতি লাভ করে।
বর্তমানে, এই সিনেমার তৃতীয় কিস্তি নির্মাণের কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে, নির্মাতারা গল্পের শেষটা এমনভাবে সাজিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে সিক্যুয়েল তৈরির সম্ভাবনা থাকে।
তথ্য সূত্র: পিপলস