হলিউডের বক্স অফিসে অপ্রত্যাশিত উত্থান, জেসন স্ট্যাথামের ‘এ ওয়ার্কিং ম্যান’-এর জয়জয়কার। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রেক্ষাগৃহে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে জেসন স্ট্যাথাম অভিনীত সিনেমা ‘এ ওয়ার্কিং ম্যান’।
অন্যদিকে, প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ‘স্নো হোয়াইট’। রবিবার প্রকাশিত এক হিসাব অনুযায়ী, ডেভিড আয়ার পরিচালিত ‘এ ওয়ার্কিং ম্যান’ ১৫.২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬০ কোটি টাকার বেশি) আয় করেছে।
অন্যদিকে বিপুল বাজেট ও প্রচারণার পরেও ‘স্নো হোয়াইট’ দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ৬৬ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে, যা সিনেমার নির্মাতাদের জন্য নিঃসন্দেহে হতাশার। ছবিটির বিশ্বব্যাপী সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ১৪৩.১ মিলিয়ন ডলার।
‘এ ওয়ার্কিং ম্যান’-এর সাফল্যের পেছনে রয়েছে জেসন স্ট্যাথামের শক্তিশালী অভিনয় এবং সিনেমার গল্প। ছবিতে জেসন একজন নির্মাণ শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি এক সময় ছিলেন সামরিক বাহিনীর এলিট শ্রেণির সদস্য।
সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে, যার প্রমাণ সিনেমা হলের টিকিট বিক্রির হার। বক্স অফিসের অন্য খবরগুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
একই সময়ে মুক্তি পাওয়া কয়েকটি নতুন সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ডেথ অফ আ ইউনিকর্ন’, ‘দ্য ওম্যান ইন দ্য ইয়ার্ড’ এবং ‘দ্য চোজেন: দ্য লাস্ট সাপার’। এর মধ্যে ‘দ্য চোজেন: দ্য লাস্ট সাপার’ ১১.৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২০ কোটি টাকার বেশি) আয় করে কিছুটা ভালো ফল করেছে।
অন্যদিকে জেনা ওর্টেগা এবং পল রুড অভিনীত হরর কমেডি ‘ডেথ অফ আ ইউনিকর্ন’ সংগ্রহ করেছে ৫.৮ মিলিয়ন ডলার। ব্লুমহাউস প্রযোজিত ‘দ্য ওম্যান ইন দ্য ইয়ার্ড’ ৯.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করলেও, সমালোচকদের কাছ থেকে তেমন একটা সাড়া পায়নি।
তবে, এই সপ্তাহের সবচেয়ে বড় চমক ছিল স্টুডিও ঘিবলি-র ক্লাসিক সিনেমা ‘প্রিন্সেস মনোনোকে’-এর পুনর্মুক্তি। ১৯৯৭ সালের এই সিনেমাটি মাত্র ৩৪৭টি আইম্যাক্স পর্দায় মুক্তি পেয়ে ৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪২ কোটি টাকার বেশি) আয় করেছে, যা প্রযুক্তিকে পরাজিত করে মানবতার জয় হিসেবে দেখছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও, স্টিভ কুগান এবং জোনাথন প্রাইস অভিনীত ‘দ্য পেঙ্গুইন লেসন’ ১.২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে হলিউডের বক্স অফিসের চিত্র হতাশাজনক।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় টিকিট বিক্রি ১১ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন সিনেমা ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’ বক্স অফিসের জন্য ইতিবাচক কিছু নিয়ে আসতে পারে।
কারণ, দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। এ সপ্তাহের শীর্ষ ১০ সিনেমার তালিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বক্স অফিস):
- এ ওয়ার্কিং ম্যান – ১৫.২ মিলিয়ন ডলার
- স্নো হোয়াইট – ১৪.২ মিলিয়ন ডলার
- দ্য চোজেন: লাস্ট সাপার – ১১.৫ মিলিয়ন ডলার
- দ্য ওম্যান ইন দ্য ইয়ার্ড – ৯.৫ মিলিয়ন ডলার
- ডেথ অফ আ ইউনিকর্ন – ৫.৮ মিলিয়ন ডলার
- প্রিন্সেস মনোনোকে – ৪ মিলিয়ন ডলার
- ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেইভ নিউ ওয়ার্ল্ড – ২.৮ মিলিয়ন ডলার
- ব্ল্যাক ব্যাগ – ২.২ মিলিয়ন ডলার
- মিকি ১৭ – ১.৯ মিলিয়ন ডলার
- নোভোকেইন – ১.৫ মিলিয়ন ডলার
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস