প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে ‘বিদ্বেষী’ বলার পর চাকরি হারালেন এबीसी নিউজের সাংবাদিক!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর একজন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক টেরি মরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সহযোগী স্টিফেন মিলারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এবিসি নিউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মরানের সঙ্গে তাদের চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না।

তেরি মরান এবিসি নিউজের একজন অভিজ্ঞ সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সংবাদ পরিবেশন করতেন।

সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প এবং মিলারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি তাদের “বিশ্বের সেরা ঘৃণাকারী” হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেই পোস্টের পরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে অবশ্য মরান সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন।

এবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তাদের নীতি অনুযায়ী সকল সাংবাদিককে নিরপেক্ষতা, ন্যায্যতা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হয়। মরানের পোস্টটি সেই নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ছিল।

কারণ হিসেবে তারা তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনার পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মরানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তা আর বাড়ানো হয়নি।

সাধারণত, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি থাকে। কিন্তু এবিসি নিউজের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ট্রাম্পপন্থীরা মরানকে বরখাস্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

তাদের মতে, একজন সাংবাদিকের এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। অন্যদিকে, ট্রাম্প-বিরোধী অনেক সাংবাদিক এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, সত্য বলার কারণে মরানকে শাস্তি পেতে হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেং সামাজিক মাধ্যমে মরানের এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, “খারাপ কথা বললে, তার ফল তো ভুগতেই হবে।”

এই ঘটনার মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তথ্যসূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *