**এল সালভাদরের নাগরিককে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব**
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের অভিবাসন নীতি নিয়ে আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া (কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া, *Kil-mar Ah-breh-go Gar-see-ah*) নামের এক এল সালভাদরের নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গার্সিয়াকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশ পালনে কোনো রকম সহযোগিতা করা হয়নি। গার্সিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রমাণ দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি, গার্সিয়ার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে এল সালভাদর সরকারের সঙ্গে আলোচনার যে দাবি করা হয়েছিল, সেটিও ছিলো খুবই অস্পষ্ট।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গার্সিয়াকে গত মার্চ মাসে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়। অথচ, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অভিবাসন আদালত এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে, গার্সিয়াকে তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে পাঠানো যাবে না।
এছাড়া, আদালত গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেও, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি।
বর্তমানে গার্সিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিবাসী পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী শুক্রবার টেনেসিতে (Tennessee) তাঁর একটি শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য পেশ করবেন এবং বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তাঁকে কারাগারে রাখা হবে কিনা।
আদালতে দাখিল করা নথিতে গার্সিয়ার আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা আদালতের কাছে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন এবং তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল।
আইনজীবীরা এই বিষয়ে বিচারকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে জরিমানা করার আবেদন জানিয়েছেন।
আদালত এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, এই মামলাটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কঠোরতা এবং অভিবাসীদের প্রতি তাদের আচরণের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন