উগান্ডায় বিতাড়নের হুমকিতে কিমলার পাশে, রাস্তায় নামছে সকলে!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা এক ব্যক্তির, কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার, বিতর্কিতভাবে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর পর, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে এবার উগান্ডায় বিতাড়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে, গার্সিয়ার সমর্থনে বাল্টিমোর শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে তার পরিবার, অভিবাসন অধিকার কর্মী, এবং স্থানীয় নেতারা একত্রিত হবেন।

জানা গেছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই তাকে উগান্ডায় ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে গার্সিয়াকে অবৈধভাবে এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছিল। যদিও পরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয় এবং একটি ফেডারেল মানব পাচার মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়।

আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে, কারণ তিনি তার বিতাড়নের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘কাসা’ নামক একটি সংগঠনের সংগঠক ও নেতৃত্বের প্রধান, লিডিয়া ওয়ালথার-রদ্রিগেজ বলেছেন, গার্সিয়া এই প্রশাসনের অবৈধ বিতাড়ন নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাই তাকে ‘শহীদ’ বানানোর চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তাদের ক্ষমতা প্রমাণ করতে একজন বাবার ওপর সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করছে, যাতে কেউ তাদের চ্যালেঞ্জ করার সাহস না দেখায়।”

গার্সিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সরকার তাকে দোষ স্বীকারের বিনিময়ে কোস্টারিকায় ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যা মূলত তাকে শাস্তি দেওয়ার একটি কৌশল। তাদের মতে, গার্সিয়াকে হয় সোমবারের মধ্যে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে, না হয় সেটি বাতিল হয়ে যাবে।

মেরিল্যান্ডের সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন গার্সিয়ার অধিকার খর্ব করা হলে, তা সবার অধিকারের প্রতি হুমকি স্বরূপ। তিনি গার্সিয়ার পরিবারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গার্সিয়াকে বর্তমানে বাল্টিমোরের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর তত্ত্বাবধানে থাকতে হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। যদিও, আদালতের এই আদেশের পরেও, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে তৃতীয় কোনো দেশে, যেমন উগান্ডায়, বিতাড়িত করতে পারবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে, এমনটা হলে তা গার্সিয়ার অধিকার লঙ্ঘিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *