যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়ায় আটকে পড়া উড়োজাহাজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান লিজ কোম্পানি, অ্যারক্যাপ। যুক্তরাজ্যের একটি আদালত সম্প্রতি এই রায় দিয়েছে।
খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
লন্ডন হাইকোর্টের এই রায়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর দেশটির সরকার কর্তৃক বিমান রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কারণে উড়োজাহাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আদালতের মতে, বিমানের এই ক্ষতির কারণ হলো রাশিয়ান সরকারের একটি সিদ্ধান্ত।
তাই বীমা কোম্পানিগুলো এখন ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে লিজ গ্রহীতা এবং একটি রাশিয়ান বীমা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অ্যারক্যাপ ১.৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি আদায় করেছে।
এই রায়ের ফলে, কোম্পানিটি অতিরিক্ত ১.০৩৫ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে।
আদালতে এই মামলাটি ছিল বেশ বড় আকারের। যেখানে প্রায় ১৫০টি উড়োজাহাজ এবং কিছু ইঞ্জিন নিয়ে বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিবাদ চলছিল।
শুরুতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের মতো ছিল।
আদালত আরও জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) অথবা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বীমা কোম্পানিগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে কোনো বাধা নেই।
অ্যারক্যাপের আইনজীবী সংস্থা হারবার্ট স্মিথ ফ্রিহিলস ক্রেমার জানিয়েছে, এই রায়ের ফলে অ্যারক্যাপের জন্য ১.০৩৫ বিলিয়ন ডলার নিশ্চিত হয়েছে, যা আগের মীমাংসার অতিরিক্ত।
এই মামলার প্রধান বিবাদীদের মধ্যে ছিল অ্যারক্যাপ, দুবাই অ্যারোস্পেস এন্টারপ্রাইজ, মেরক্স এভিয়েশন, কেডিএসি এভিয়েশন ফাইনান্স, ফ্যালকন এবং জেনেসিস।
এদের মধ্যে এআইজি, লয়েডস, চাব এবং সুইস রের মতো বীমা কোম্পানিগুলোও ছিল।
কেডিএসি তাদের সমস্ত দাবি মামলার সময়েই নিষ্পত্তি করে ফেলেছিল।
আর্থিক ক্ষতির এই বিশাল অঙ্ক আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে এবং বিশ্বজুড়ে বিমান লিজ ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন