কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)-এর বাজারে সম্ভবত একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। বিনিয়োগকারীরা এখন কিছুটা সতর্ক হচ্ছেন, কারণ এই খাতে বিনিয়োগের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এর ফলে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রযুক্তি শেয়ারের বাজারেও দেখা যাচ্ছে অস্থিরতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে AI প্রযুক্তি নিয়ে বিপুল উৎসাহ দেখা গেলেও, এখন সেই উন্মাদনায় ভাটা পড়েছে।
এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাজারে এখন ‘ডিসাস্টার পুটস’ কেনার হিড়িক লেগেছে।
সহজ ভাষায় বললে, এটা হলো বাজারের দরপতনের বিরুদ্ধে এক ধরনের বীমা পলিসি। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, সম্ভবত ১৯৯০ দশকের শেষের দিকের ডট-কম বাবল-এর মতো পরিস্থিতি আবারও তৈরি হতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মেটা’র মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো AI প্রকৌশলীদের আকৃষ্ট করার জন্য বিশাল অঙ্কের বেতন প্রস্তাব করছে, যা সম্ভবত এই খাতের বিনিয়োগের অতিরিক্ততা নির্দেশ করে। এই পরিস্থিতিতে, এনভিডিয়া (Nvidia), মাইক্রোসফট (Microsoft) এবং পালাম্ভীর (Palantir)-এর মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে, কিছু বিনিয়োগকারীর মতে, এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে। তারা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীরা এখন নতুন করে তাদের কৌশল সাজাচ্ছেন এবং প্রযুক্তি খাতে কিভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা যায়, সে বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা করছেন।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, AI-এর উত্থান-পতন বাজারের সাধারণ নিয়মের মতোই। তবে, তাদের মতে, AI এখনো পর্যন্ত তার ‘যোগ্যতা’ প্রমাণ করতে পারেনি।
এই প্রযুক্তি এখনও পর্যন্ত কেবল ধারণাগত সাফল্যের উপর নির্ভরশীল। এই পরিবর্তনের ঢেউ কি বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে?
বর্তমানে, বাংলাদেশের স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো AI-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছে। বিশ্ববাজারে AI-এর বিনিয়োগে মন্দা দেখা দিলে, বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
তাই, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। তথ্য সূত্র: সিএনএন