ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের প্রাক্তন ম্যানেজার অ্যাইডি বুথরয়েড, যিনি একসময় ওয়াটফোর্ড এবং কোভেন্ট্রির মতো ক্লাবেরও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন, সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তিনি তিন বছর আগে পারকিনসন’স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (যেহেতু মূল নিবন্ধে বুধবার উল্লেখ করা হয়েছে, তাই এখানেও সেই দিনের কথা উল্লেখ করা হলো) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই খবর জানান।
বুথরয়েড জানান, এই রোগ ধরা পড়ার পর তিনি কিছুটা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, আমি হয়তো নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাচ্ছি।
কিন্তু এই রোগটি আমার জীবনে এক বিরাট ধাক্কা হয়ে আসে।” তিনি আরও বলেন, এই খবরটি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে তার বেশ কিছুটা সময় লেগেছে।
৫৪ বছর বয়সী বুথরয়েড বলেন, “আমি সবসময়ই চেয়েছি আমার এই রোগ সম্পর্কে সবাইকে জানাতে।
কারণ আমি মনে করি, এর মাধ্যমে অন্যদেরও সচেতন করা যাবে।
বর্তমানে আমি আমার শারীরিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি, যা পারকিনসন’স রোগের অগ্রগতিকে ধীর করতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আমার জীবনের পরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত।
আমি লীগ ম্যানেজার্স অ্যাসোসিয়েশন (LMA) এবং পারকিনসন’স ইউকের প্রতি কৃতজ্ঞ তাদের সহায়তার জন্য।
পারকিনসন’স রোগ স্নায়ুতন্ত্রের একটি জটিল রোগ, যা মানুষের শরীরের নড়াচড়ার ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা এখনো সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য নয়।
তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এলএমএ’র প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বুথরয়েড তার গত তিন বছরের কঠিন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “মানসিকভাবে এই সময়টা কঠিন ছিল, তবে শারীরিকভাবে আমি ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি।
একজন ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে মাঠে কাজ করার সুবাদে শরীরচর্চা করাটা আমার জন্য সহজ হয়েছে।
নিয়মিত দৌড়ানো বা ব্যায়াম করা আমার কাছে এখন স্বাভাবিক।
বুথরয়েড আরও যোগ করেন, “আমি চাই না এই রোগ আমাকে পরাজিত করুক।
আমি মাঠে ফিরতে চাই, অথবা এমন কিছু করতে চাই যা আমার ভালো লাগে।
আমি ফিট থাকতে চাই এবং আশা করি, শীঘ্রই এমন একটি কাজ খুঁজে পাবো যেখানে আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর বুথরয়েড ২০২২ সালের মে মাসে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ডের কোচিং স্টাফের অংশ ছিলেন।
বুথরয়েডের এই লড়াই অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জোগাবে, বিশেষ করে যারা একই ধরনের শারীরিক সমস্যার সঙ্গে লড়ছেন।
তার এই মানসিক দৃঢ়তা এবং খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসাই তাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান