এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুই চিকিৎসক ও তাদের পরিবার। গত সপ্তাহে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই171 টেক অফের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়।
এতে নিহত হন ২৩৯ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন রেডিওলজিস্ট ড. প্রতীক জোশী, তার স্ত্রী ড. কোমি ব্যাস এবং তাদের তিন সন্তান— মীরায়া, প্রদ্যুৎ ও নকুল। দুর্ঘটনার আগে তোলা তাদের হাসিখুশি একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা শোকের আবহ আরও গভীর করেছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে পরিবারটির ছবি তোলার দৃশ্য বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ডার্বি হিন্দু মন্দির শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছে।
ড. জোশীর সহকর্মী এবং প্রতিবেশীরা তাদের শোক প্রকাশ করে জানান, পরিবারটি খুবই মিশুক এবং ভালো মানুষ ছিল।
তাদের মৃত্যুতে তারা গভীরভাবে শোকাহত।
একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন, পরিবারটি ২০১৯ সালে তাদের প্রতিবেশী ছিল এবং পরে ভারতে ফিরে যায়।
বিদায় নেবার সময় ড. জোশী তাদের অনেক উপহার দিয়েছিলেন।
বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ভারতীয়, ব্রিটিশ, পর্তুগিজ এবং কানাডার নাগরিক ছিলেন।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমানের একমাত্র যাত্রী যিনি জীবিত আছেন, তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।
ডার্বি ও বার্টন হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ড. জোশী একজন নিবেদিতপ্রাণ ও মেধাবী চিকিৎসক ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়, তিনি ছিলেন একজন উষ্ণ, হাসিখুশি এবং ভালো মানুষ।
তাঁর অভাব পূরণ হবার নয়।
ড. জোশীর সহকর্মী রাজীব সিং জানান, তিনি ছিলেন খুবই আনন্দিত একজন মানুষ এবং তাঁর কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।
ড. কোমি ব্যাস সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে যোগ দিতে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল