**ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া, নিহত ২ শতাধিক, কারণ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষ**
গতকাল, সম্ভবত ১২ই জুন, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আহমেদাবাদে একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এয়ার ইন্ডিয়া’র একটি যাত্রীবাহী বিমান, ফ্লাইট নম্বর এআই-১৭১, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
বোয়িং ৭87-8 মডেলের এই বিমানটিতে ২৩৮ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য ছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনো পর্যন্ত অজানা।
তবে প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘানি নগর নামক একটি জনবহুল এলাকার কাছে একটি মেডিকেল কলেজের পাশে আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জি এস মালিকের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিমানের সকল আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
তবে পরবর্তীতে তিনি জানান, এই বিষয়ে তার বক্তব্যকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে উদ্ধার কাজে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও, ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রী শ্রী. কিনজারাপু রামমোহন নাইডু এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে, দ্রুত উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। এই ঘটনার পর, বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার এই মর্মান্তিক ঘটনা, বিশ্বজুড়ে বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রাথমিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: পিপল