আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার কবলে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট, নিহত ২ শতাধিক।
পশ্চিম ভারতীয় শহর আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে বিমানের ২ শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী জীবিত নেই।
জানা গেছে, বিমানটি (এআই১৭১) আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি ওড়ে।
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি বিমানবন্দরের বাইরে ভূপাতিত হয়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, বিমানটি ৬২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা ছুটে যান এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বোয়িং ৭87-8 ড্রিমলাইনার বিমানটি ছিলো এই ফ্লাইটে। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং জানিয়েছে, এই ধরনের বিমানের এটি প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বোয়িং কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন।
বিমানটিতে মোট ২৩৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জরুরি উদ্ধারকারী দলগুলোকে সব ধরনের সহায়তা করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার কাজে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারও এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২২ সালে টাটা গ্রুপের অধীনে আসার পর বিমান সংস্থাটি আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এয়ার ইন্ডিয়ার কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা।
এই দুর্ঘটনার ফলে বোয়িং কোম্পানির শেয়ারের বাজারেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
