এয়ার নিউজিল্যান্ড: নতুন রূপে ফিরছে, যাত্রীদের মন জয় করতে প্রস্তুত!

নিউজিল্যান্ডের বিমান সংস্থা এয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের বহরে নতুন করে সজ্জিত বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমান যুক্ত করেছে। যাত্রীদের আরাম এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নতুন এই বিমানগুলোতে বিজনেস প্রিমিয়ার কেবিন, ইকোনমি ও প্রিমিয়াম ইকোনমি বিভাগে এসেছে নতুনত্ব।

এয়ার নিউজিল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ফোরান জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল যাত্রীদের জন্য একটি আরামদায়ক এবং উপভোগ্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করা। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ পথের যাত্রী, তাদের কথা মাথায় রেখে কেবিনগুলোকে সাজানো হয়েছে।

নতুন বিজনেস প্রিমিয়ার কেবিনে রয়েছে আরামদায়ক সিট, যা সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট হয়ে শুতে পারা যায়। এছাড়াও রয়েছে উন্নত গোপনীয়তা, ওয়্যারলেস চার্জিং এবং ২৪ ইঞ্চি হাই- রেজোলিউশনের মনিটর।

যারা একটু বেশি সুবিধা চান, তাদের জন্য বিজনেস প্রিমিয়ার লাক্স (Luxe) -এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিভাগে সিটগুলো বিমানের সামনের সারিতে স্থাপন করা হয়েছে এবং এতে অতিরিক্ত স্থান, গোপনীয়তার জন্য আলাদা দরজা এবং একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ইকোনমি এবং প্রিমিয়াম ইকোনমি বিভাগেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইকোনমি বিভাগে এখন পাঁচটি ভিন্ন ধরনের সিটিং অপশন রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্কাইকোচ।

২০২৬ সাল থেকে এখানে যুক্ত হবে স্কাইনেস্ট, যা ইকোনমি যাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ ধরণের ঘুমোনোর ব্যবস্থা।

প্রিমিয়াম ইকোনমি বিভাগে রয়েছে উন্নত সিট, যা ৪১ ইঞ্চি পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়াও রয়েছে গোপনীয়তা এবং আরামের জন্য বিশেষ আলো।

ভ্রমণে টেকসইতার উপর জোর দিয়ে এয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের বিমানে হালকা ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করছে। বিমানের কার্পেট এবং সিটের কাপড়ে চামড়ার পরিবর্তে পরিবেশ-বান্ধব কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে।

দীর্ঘ রুটের ফ্লাইটে যাত্রীদের জন্য এয়ার নিউজিল্যান্ডের এই নতুন সংযোজন নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করবে না, বরং বিমান সংস্থাটিকে বিশ্ব দরবারে আরও পরিচিত করে তুলবে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *