৯0 সেকেন্ডের ব্ল্যাকআউটে একা, ট্রমা-এর শিকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার!

নিউ ইয়র্কের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার মানসিক আঘাত পেয়েছেন এবং ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শুক্রবার, ৯ই মে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে, নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এই ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় কর্মক্ষেত্রে থাকা একমাত্র কন্ট্রোলার, ৩৯ বছর বয়সী একজন নারী, যিনি ১৬ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত আছেন, তিনি সম্পূর্ণ একা ছিলেন। হঠাৎ করেই তার কন্ট্রোল স্ক্রিনগুলো অন্ধকার হয়ে যায় এবং তিনি বিমানগুলির অবস্থান দেখতে পাননি।

তার মতে, এই বিভ্রাট প্রায় ৯০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল, যা বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ।

ওই কন্ট্রোলার জানান, এর আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, যখন প্রায় একই সময়ের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, তার কয়েকজন সহকর্মীকে মানসিক আঘাতের কারণে ছুটিতে যেতে হয়েছিল।

এই ঘটনার পর তিনি এতটাই বিচলিত হয়েছিলেন যে, তিনিও মানসিক আঘাতের কারণে ছুটিতে যেতে বাধ্য হন এবং বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিমানবন্দরের কর্মীদের মতে, এই ধরনের ঘটনাগুলো তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং কর্মপরিবেশকে আরও কঠিন করে তোলে। তাদের আশঙ্কা, যদি বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার উন্নতি না হয়, তবে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং জনবল সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে, তারা ফ্লাইটের আগমন ও বহির্গমন হার কমাচ্ছে এবং কন্ট্রোলারদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

সেইসাথে, পুরনো তামার তারের পরিবর্তে ফাইবার অপটিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

FAA-এর ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক, ক্রিস রশলু (Chris Rocheleau) জানিয়েছেন, ভ্রমণকারীদের ফ্লাইটের বিলম্বের কারণে সৃষ্ট অসুবিধা কমাতে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

বর্তমানে, নিউয়ার্ক বিমানবন্দরের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছে, যা বিমানবন্দরের কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং যাত্রী নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *