বিমানবন্দরে ভয়াবহ চিত্র! বেতনহীন কর্মীদের কারণে বাড়ছে ফ্লাইট বিলম্ব?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। এর ফলস্বরূপ, আকাশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকদের (Air Traffic Controllers) জনবল সংকটের কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হচ্ছে এবং অনেক ফ্লাইট বাতিলও করতে হচ্ছে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) -এর তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনের মধ্যে এই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে অচলাবস্থা (Government shutdown) চলমান থাকার কারণে, অনেক সরকারি কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। এর ফলে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের মধ্যে কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে।

বিমানবন্দরগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে, কারণ পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী কাজ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কর্মীদের অভাবে অনেক ফ্লাইট হয় বাতিল করতে হচ্ছে, না হয় বিলম্বিত হচ্ছে।

FAA জানাচ্ছে, কর্মীদের অভাবে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে, গত সপ্তাহান্তে দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে আকাশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

এর ফলে, বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেক্সাসের অস্টিন, নিউ জার্সির নেয়ার্ক, বোস্টন, ডালাস, ডেনভার, ন্যাশভিল এবং ফিনিক্স সহ বিভিন্ন শহরের বিমানবন্দরগুলোতে কর্মী সংকটের কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় সমস্যা হয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে ফ্লাইটগুলোকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা বিলম্বিত করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কারণ, বেতন না পাওয়ার কারণে অনেক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কাজে আসছেন না।

কেউ কেউ অসুস্থতাজনিত কারণ দেখাচ্ছেন, আবার অনেকে অন্য কোনো কাজ করছেন। এর ফলে, বিমানবন্দরের কর্মপরিবেশে চরম চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

FAA-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অচলাবস্থা দ্রুত শেষ হওয়া উচিত, যাতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা তাদের প্রাপ্য বেতন পান এবং ভ্রমণকারীরাও এই ধরনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পান।

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি (Sean Duffy) বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে, তবে অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বিমান চলাচলে আরও বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, বিমানযাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের সময়সূচী সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কারণ, যেকোনো সময় ফ্লাইট বিলম্বিত অথবা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *