আকাশ পথে ভ্রমণের সময়, বিশেষ করে যদি ভ্রমণটা দীর্ঘ হয়, তখন বিমানের খাবার নিয়ে আমাদের আগ্রহ থাকে। কেমন খাবার পরিবেশন করা হবে, তার স্বাদ কেমন হবে, এসব নানা প্রশ্ন মনে জাগে।
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই খাবারগুলো নির্বাচন করে কারা? যাত্রীদের রুচি, চাহিদা এবং বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বিমান সংস্থাগুলো তাদের খাদ্য তালিকা তৈরি করে থাকে।
সাধারণত, বিমান সংস্থাগুলোর খাদ্য ও পানীয় বিষয়ক বিভাগ এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে জড়িত দল একযোগে কাজ করে এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া মতামতের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়।
বিভিন্ন জরিপ এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে তারা জানতে চায় যাত্রীরা কি ধরনের খাবার পছন্দ করেন। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি খাবারের মান এবং স্বাস্থ্যগত দিকগুলোও তাদের বিবেচনায় থাকে।
কোনো যাত্রী যদি বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তবে তার জন্য উপযুক্ত খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করা হয়।
বিমানকর্মীরা প্রায়ই নতুন খাবারের তালিকা তৈরির আগে সেগুলোর স্বাদ গ্রহণ করেন। তাদের অভিজ্ঞতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিমান সংস্থা। উদাহরণস্বরূপ, কোনো রুটি বা বিস্কুটের প্যাকেটের কথা ধরুন। এর স্বাদ, মান এবং সরবরাহ করার সক্ষমতা – এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হয়।
সরবরাহকারীর পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার তৈরি ও সময় মতো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতাও এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যাত্রীদের পছন্দের বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। একটি বিমানের খাবার নির্বাচনে গ্রাহকদের মতামত অত্যন্ত মূল্যবান।
তারা তাদের পছন্দের কথা জানালে, সেই অনুযায়ী খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটি খাবার জনপ্রিয়তা পেলে তা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশন করা হয়।
আবার, কোনো একটি খাবার যদি যাত্রীদের মধ্যে তেমন সাড়া না ফেলে, তবে সেটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তাহলে, কিভাবে একজন যাত্রী তার পছন্দের খাবার নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারেন? সহজ উপায় হলো, বিমান ভ্রমণের পর পাওয়া জরিপগুলোতে অংশ নেওয়া।
আপনার মতামত জানালে, সেই অনুযায়ী ভবিষ্যতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। তাই,পরেরবার বিমানে চড়ার পর জরিপ পেলে, সেটি পূরণ করতে ভুলবেন না।
আপনার একটি ছোট মন্তব্যই হয়তো আপনার পরবর্তী ফ্লাইটের খাবার আরও উপভোগ্য করে তুলবে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লিজার