মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় তরল পদার্থ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। অনেক যাত্রীই এই নিয়মগুলো নিয়ে বেশ দ্বিধায় ভোগেন।
বিশেষ করে, বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে তরল পানীয় নিয়ে কি করা উচিত, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। এইসব নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে ভ্রমণ সহজ হতে পারে।
সাধারণত, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীদের তরল পানীয় ফেলে দিতে বলা হয়। তবে, একটি বিশেষ উপায়ে আপনি চাইলে নিজের পানীয় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
সেটি হলো, পানিকে জমাটবদ্ধ করে, অর্থাৎ বরফ করে নিয়ে যাওয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন (TSA) এর মুখপাত্রের মতে, “যদি কোনো যাত্রী তরল পানীয় বরফ করে নিয়ে যান, তবে তা গ্রহণ করা হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটি সম্পূর্ণ জমাট বাঁধা অবস্থায় থাকে।” তার মানে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চৌকিতে প্রবেশের সময় যদি পানীয়টি আংশিকভাবে গলে যায় অথবা পাত্রের নিচে সামান্য তরল অবশিষ্ট থাকে, তবে TSA-এর তরল-সংক্রান্ত নিয়ম (3-1-1 rule) প্রযোজ্য হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, একজন যাত্রী তার হ্যান্ড ব্যাগে তরল, অ্যারোসল, জেল, ক্রিম ও পেস্ট-জাতীয় পদার্থ নিতে পারবেন, তবে সেগুলোর প্রতিটি অবশ্যই ১০০ মিলিলিটার (বা ৩.৪ আউন্স) এর কম পরিমাণে হতে হবে।
এই ধরনের সব কন্টেইনার একটি স্বচ্ছ, ১-কোয়ার্ট আকারের (প্রায় ১ লিটার) ব্যাগে রাখতে হবে। তরলের পরিমাণ নয়, বরং পাত্রের আকার এখানে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
তাই, ভ্রমণের আগে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়া ভালো। প্রয়োজনে TSA-অনুমোদিত টয়লেট্রি কিট ব্যবহার করা যেতে পারে।
অবশ্য, কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন – ওষুধ এবং শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় তরল খাবার (যেমন – বুকের দুধ বা ফর্মুলা)।
এছাড়া, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ডিউটি-ফ্রি তরল পণ্যের ক্ষেত্রেও কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ডিউটি-ফ্রি তরল-জাতীয় পণ্য, যা ১০০ মিলিলিটার (বা ৩.৪ আউন্স) এর বেশি, তা অবশ্যই বিক্রেতার দেওয়া “স্বচ্ছ, সুরক্ষিত, এবং সহজে খোলা যায় না এমন” ব্যাগে রাখতে হবে।
সেই সঙ্গে, পণ্যের মূল রসিদ সঙ্গে রাখতে হবে, যা প্রমাণ করবে যে এটি ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেনা হয়েছে। অন্যথায়, এই ধরনের তরল হ্যান্ড ব্যাগে নেয়া যাবে না, এবং তা অবশ্যই চেক-ইন করা লাগেজে রাখতে হবে।
যাত্রীদের মনে রাখতে হবে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধিগুলি স্থান ও এয়ারলাইন্স ভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: Travel and Leisure