ঐশার মহাকাশ জয়: প্রয়াত বাবার শেষ বার্তা, যা আজও কাঁদায়!

মহাকাশ অভিযানে নারীদের জয়জয়কার, ব্লু অরিজিনের প্রথম নারী মহাকাশচারী দলের একজন ছিলেন প্রাক্তন নাসা বিজ্ঞানী আয়েশা বো। তার এই সাফল্যে গর্বিত ছিলেন প্রয়াত বাবা, যিনি সবসময় চাইতেন মেয়ে মহাকাশে যাক।

সম্প্রতি, নীল রঙের মহাকাশযান ‘নিউ শেপার্ড’-এ চড়ে মহাকাশে যান তিনি।

আয়েশা বোয়ের এই মহাকাশ যাত্রা ছিল শুধু তার একার জয় নয়, বরং এটি ছিল নারী শক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বায়োএস্ট্রোনটিক্স গবেষণা বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন, চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ানে ফ্লিন, সাংবাদিক গেল কিং, সমাজসেবী লরেন সানচেজ এবং সঙ্গীতশিল্পী কেটি পেরির মতো আরও পাঁচজন নারী ছিলেন এই মিশনে।

আয়েশা বোয়ের বাবা, যিনি নিজেও একজন মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলেন, তার মেয়ের এই সাফল্যে কতটা খুশি হয়েছিলেন, তা একটি টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জানা যায়। আয়েশা জানান, তার বাবা তাকে বলেছিলেন, “আমার আগে যারা ছিল এবং আমার পরে যারা আসবে, তারা সবাই আমার জন্য গর্বিত।”

মহাকাশে থাকাকালীন সময়ে আয়েশা তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি বাহামাসের প্রতীক ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, এই প্রতীকটি “অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মহাকাশের” মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র স্থাপন করেছে।

আয়েশা আরও জানান, এই মিশনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, যেকোনো মানুষ, বিশেষ করে যারা ছোটবেলা থেকে মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে, তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

তার কথায়, “আমার ৯২ বছর বয়সী দাদা, যিনি বাহামার এক্সুমা দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি তার নাতনিকে মহাকাশে উড়তে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।”

এই মিশনে শুধু আয়েশা একাই ছিলেন না, বায়োএস্ট্রোনটিক্স গবেষণা বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েনও ছিলেন। উৎক্ষেপণের আগে তিনি বেশ আবেগপ্রবণ ছিলেন।

আমান্ডা জানান, তার তিনটি পরীক্ষা ছিল যা তিনি মহাকাশে করেছিলেন। তার মতে, সেখানে সময় খুব মূল্যবান ছিল, তাই তিনি প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন।

আয়েশা বোয়ের এই মহাকাশ যাত্রা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (Science, Technology, Engineering, and Mathematics – STEM) বিষয়ে আগ্রহী মেয়েদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *