আলুর দম থেকে বিফ তেহারি— রান্নার স্বাদে কোনটি সেরা?
রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে একটি হলো ভালো মানের ক্যাসোরোল ডিশ বা গভীর থালা। বাজারে বিভিন্ন দামের ক্যাসোরোল ডিশ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, ফ্রান্সের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ‘লে ক্রুজেট’-এর একই ধরনের থালার দাম প্রায় ৩৫ হাজার টাকার বেশি। প্রশ্ন হলো, এত দামের পার্থক্য কি সত্যিই গুণগত মানে প্রভাব ফেলে? এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন।
বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের রান্নার সামগ্রী পাওয়া যায়, যার মধ্যে ক্যাসোরোল ডিশ অন্যতম। এই ধরনের থালা সাধারণত খাবার গরম রাখতে বা পরিবেশন করতে কাজে লাগে।
যুক্তরাজ্যে, আলদি নামক একটি সুপারমার্কেট তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্যাসোরোল ডিশ বাজারে এনেছে, যার দাম ১৯.৯৯ পাউন্ড (আনুমানিক ২,৭০০ টাকা)। অন্যদিকে, ‘লে ক্রুজেট’-এর একই আকারের একটি থালার দাম প্রায় ৩০৫ পাউন্ড (প্রায় ৪১,০০০ টাকা)।
গুণগত মান বিচারের জন্য, প্রথমে দেখা যাক এই দুটি থালার নির্মাণশৈলী। ‘লে ক্রুজেট’ থালা তৈরি হয় ফ্রান্সে, যেখানে লোহার সাথে পুনর্ব্যবহৃত ইস্পাত মিশিয়ে হাতে তৈরি করা হয়।
অন্যদিকে, আলদির থালা তৈরি হয় চীনে। এখানে, গলিত ধাতুকে বালির ছাঁচে ফেলে, ঠান্ডা করে এনামেল দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়।
রান্নার পরীক্ষায়, উভয় থালাতেই বাঙালি রান্নার কয়েকটি পদ রান্না করা হয়েছে। যেমন— আলুর দম, বিফ তেহারি এবং সবজির তরকারি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, আলদির থালার ঢাকনা ‘লে ক্রুজেট’-এর মতো ভালোভাবে বসে না, ফলে বাষ্প বের হয়ে যেতে পারে।
ব্যবহারের দিক থেকেও পরীক্ষা করা হয়েছে এই দুটি থালাকে। গরম থালাকে ঠান্ডা পানিতে রাখা, চামচ বা ছুরি দিয়ে আঁচড়ানো— এমন পরীক্ষার পরেও দুটির বাইরের অংশে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
তবে, দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর আলদির থালার এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, ‘লে ক্রুজেট’ তাদের পণ্যের গুণগত মান এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য পরিচিত।
তাহলে, সিদ্ধান্ত কী?
যদি বাজেট কম থাকে, তবে আলদির ক্যাসোরোল ডিশ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে, দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এবং উন্নত মানের রান্নার অভিজ্ঞতার জন্য ‘লে ক্রুজেট’-এর মতো ব্র্যান্ডের থালা বেছে নেওয়া যেতে পারে।
রান্নার স্বাদ এবং স্থায়িত্বের বিচারে, ক্যাসোরোল ডিশ কেনার সময় ক্রেতাদের নিজস্ব প্রয়োজন ও বাজেট বিবেচনা করা উচিত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান