ফিলিস্তিনের তরুণী টেনিস খেলোয়াড় অ্যালেক্সান্দ্রা ইয়ালা মিয়ামি ওপেনে আলো ছড়ানোর পর সেমিফাইনালে হেরে গেলেও, বিশ্ব দরবারে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফর্ম করে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
**ইয়ালা: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের উত্থান**
মাত্র ১৯ বছর বয়সী অ্যালেক্সান্দ্রা ইয়ালা, যিনি ফিলিপাইনের হয়ে টেনিস খেলেন, মিয়ামি ওপেনে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাইদের হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও, শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ জেসিকা পেগুলার কাছে পরাজিত হন।
তবে এই পরাজয় সত্ত্বেও, ইয়ালা বিশ্ব টেনিস অঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইয়ালা এবারের টুর্নামেন্টে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী ইগা শিয়াওটেক, ইয়েলেনা ওস্তাপেনকো এবং ম্যাডিসন কিসের মতো তারকা খেলোয়াড়দের পরাজিত করে সবার নজর কাড়েন। তার আক্রমণাত্মক এবং কৌশলপূর্ণ খেলার ধরন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
ইয়ারার এই সাফল্যে ফিলিপাইনে আনন্দের বন্যা বইছে এবং দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
**সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই**
সেমিফাইনালে ইয়ালা এবং বিশ্বের ৪ নম্বর খেলোয়াড় জেসিকা পেগুলার মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। খেলার ফলাফল ছিল ৭-৬ (৩), ৫-৭, ৬-৩।
এই ম্যাচে পেগুলা জয়ী হলেও, ইয়ালা তার অসাধারণ দক্ষতা এবং লড়াই করার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার এই পারফরম্যান্সের কারণে তিনি শীঘ্রই বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জন টেনিস খেলোয়াড়ের মধ্যে স্থান করে নিতে যাচ্ছেন।
ম্যাচ শেষে জেসিকা পেগুলা ইয়ারার প্রশংসা করে বলেন, “সে সত্যিই একজন ভালো খেলোয়াড়। সে তার শটগুলো খুব ভালো খেলে, বল দ্রুত নেয় এবং দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আমি মনে করি, তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছুই দেখার আছে।”
**ফাইনালে সাবাленকা বনাম পেগুলা**
মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে জেসিকা পেগুলার প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় আরিয়ানা সাবাленকা। সেমিফাইনালে সাবাленকা সরাসরি সেটে ৬-২, ৬-২ ব্যবধানে জাসমিনা পাওлиниকে পরাজিত করেন।
সাবাленকা এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দিত এবং নিজের খেলার উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
টেনিস বিশ্বে মিয়ামি ওপেনের গুরুত্ব অনেক। এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন