অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে।
ডিকসন নির্বাচনী এলাকা থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী আলী ফ্রান্স লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডটনকে পরাজিত করেছেন। এই জয়ের ফলে, ফ্রান্স এমন একজন হিসেবে পরিচিত হলেন যিনি বিরোধীদলীয় নেতাকে নির্বাচনে হারাতে সক্ষম হয়েছেন।
আলী ফ্রান্স একজন পরিচিত মুখ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি একসময় সাংবাদিকতা করেছেন এবং প্যারা-অ্যাথলেট হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও ছিলেন।
ডিকসন আসনে এটি ছিল তার তৃতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অবশেষে তিনি জয়ী হয়েছেন। এর আগে, এই আসনটি প্রায় ২৪ বছর ধরে পিটার ডটনের দখলে ছিল, যিনি বর্তমানে লিবারেল পার্টির নেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনে জয়ের জন্য ফ্রান্সের এই সংগ্রাম সহজ ছিল না। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন তার প্রতিপক্ষের বিশাল প্রচারণার খরচ।
তিনি জানান, প্রচারণার জন্য ডটন প্রচুর অর্থ খরচ করেছেন। তবে ফ্রান্সের দল একটি শক্তিশালী তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছে।
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া, তাদের সঙ্গে কথা বলা এবং স্থানীয় বাজারে প্রচারণার মাধ্যমে তারা ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
আলী ফ্রান্স এর আগে ২০১৯ এবং ২০২২ সালেও ডটনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে সেবার তিনি জিততে পারেননি।
২০১১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ফ্রান্সের পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। সেই সময় ডটন তার শারীরিক অক্ষমতাকে নির্বাচনের কারণ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছিলেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
বর্তমানে, আলী ফ্রান্স তার ছেলেকে নিয়ে আরানা হিলসে বসবাস করেন। তিনি একজন অবিবাহিত মা।
নির্বাচনের দিন তিনি তার আরেক ছেলেকে সাথে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। জয়ের বিষয়ে তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
তিনি বলেন, এই জয়ের জন্য তিনি এবং তার দল সাত বছর ধরে কাজ করেছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা এই জয়ে সহায়ক হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে নির্বাচনের ফলাফল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: The Guardian